যুক্তরাজ্য

এক দশকে ১ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগ চায় যুক্তরাজ্য

ডেস্ক রিপোর্ট: অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আগামী দশকে যুক্তরাজ্যকে ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি পাউন্ডের (প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার) বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে। সম্প্রতি দেশটির একটি বিশ্লেষক দলের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়,, এ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে আগামী দশকে বার্ষিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

‘দ্য ক্যাপিটাল মার্কেট অব টুমোরো’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ‘লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল’-এর সাবেক প্রধান স্যার নাইজেল উইলসন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হলে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি পাউন্ডের বিনিয়োগ টানতে হবে। এর মধ্যে আবাসন খাতে ২-৩ হাজার, জ্বালানি খাতে ৫ হাজার ও পানি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রকল্পে ৮০০ কোটি পাউন্ডের কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে যৌথ মূলধনি উৎস থেকে ২-৩ হাজার পাউন্ডের বিনিয়োগ টানার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে প্রতিযোগিতামূলক একটি বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। যদিও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ টানতে অনেক পদক্ষেপ চলমান, এর পরও বিনিয়োগকারীদের সুযোগ বাড়ানো এবং আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে আরো মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

উইলসন বলেন, ‘সম্ভাব্য বিনিয়োগের মধ্যে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের উৎস রয়েছে। যেমন সার্বভৌম সম্পদ তহবিল, খুচরা বিনিয়োগ, পার্সোনাল ইক্যুইটি ইত্যাদি। আরেকটা কারণে যুক্তরাজ্য সৌভাগ্যবান। সেটা হলো আমাদের পেনসন ও বীমা খাতে ৬ লাখ কোটি পাউন্ডের দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্য মূলধন রয়েছে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান রয়েছে।’

উইলসন তার প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যে এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে বলেছেন, যেখানে সাধারণ ভোক্তারা তাদের নগদ অর্থ ব্যাংক হিসাবে অলস ফেলে না রেখে বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনায় উৎসাহ দিতে স্ট্যাম্প শুল্ক বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ নাগরিকদের একটা নির্দিষ্ট অংক পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুল্ক মওকুফ করা উচিত।

প্রতিবেদনটি মূলত তৈরি করা হয়েছে ‘ইউকে ক্যাপিটাল মার্কেটস ইন্ডাস্ট্রি টাস্কফোর্সের’ (সিএমআইটি) জন্য। ব্রিটিশ পুঁজিবাজারের প্রভাবশালী এ টাস্কফোর্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী ডেইম জুলিয়া হোগেট। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তিটা অনেক মজবুত। আমাদের এখানে বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বনামধন্য অর্থনৈতিক সেবা খাত রয়েছে। কিন্তু আমাদের এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)