সুইং স্টেটগুলোয় শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ট্রাম্প-কমলা
ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক জরিপগুলো দেখাচ্ছে, দুই প্রার্থীর জনসমর্থন প্রায় কাছাকাছি। ব্যবধান বাড়াতে তাই বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কমলা ও ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে তাদের নজর নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ানো দেশটির সুইং স্টেটগুলো।
গত জুলাইয়ে জো বাইডেন নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পান কমলা হ্যারিসকে। আর এর পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। অবশ্য দেশটির এক কোটির বেশি ভোটার এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এ সংখ্যা ২০২০ সালের মোট ভোটের প্রায় ৪৩ শতাংশ।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপের তথ্য বলছে, দুই প্রার্থীর সমর্থনের ব্যবধান খুব বেশি নয়। এবিসি নিউজের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন হ্যারিস। বিপরীতে তার থেকে ১ শতাংশ কম সমর্থন রয়েছে ট্রাম্পের। তাই এখন সুইং স্টেটগুলোর ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন দুজনেই। কেননা সুইং স্টেটগুলোর ফলাফলই নির্ধারণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেক্টর থাকেন। নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে জয়ী হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি ভোট পেতে হয়। আর এক্ষেত্রে বড় প্রভাব রাখে সুইং স্টেটগুলো। এ বছর সাতটি সুইং স্টেটের ইলেক্টোরাল ভোট ৯৩টি। এবার সুইং স্টেট বলা হচ্ছে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন ও নেভাদাকে।
নির্বাচন সামনে রেখে এ রাজ্যগুলোয় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্প দুজনেই তর্কে বিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পরস্পরকে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, বাড়ছে লড়াইয়ের মাত্রাও।
শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সুইং স্টেট মিশিগান ও উইসকনসিনে দুটি সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প। আর উইসকনসিনের দুটি জায়গায় প্রচার চালিয়েছেন কমলা হ্যারিস।
সমাবেশে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রবাসীর জন্য আশার বার্তা নিয়ে আসবেন তিনি। মিশিগানের আরব-আমেরিকান ভোটারদের সঙ্গেও দেখা করেন ট্রাম্প। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক ধ্বসের জন্য তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে দায়ী করেন। সমাবেশে রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে চেনিকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন ট্রাম্প। চেনিকে যুদ্ধবাজ অভিহিত করে তাকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করানোর কথাও বলেন তিনি।
তবে কমলা হ্যারিস চেনিকে দেশপ্রেমিক বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, ‘প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প।’ উইসকনসিনের সমাবেশে ভোটারদের উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘যিনি সহিংস কথাবার্তা বলতে পারেন, তিনি স্পষ্টতই একজন অযোগ্য ব্যক্তি। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন।’
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//