BSEC Walton Group Meeting

বিএসইসির সাথে ওয়ালটন গ্রুপের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর সাথে ওয়ালটন গ্রুপের শীর্ষকর্তাদের এক বৈঠক বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর, ২০২৪) অনুষ্ঠিত হয়। 

রাজধানীর আগারগাঁও-এ বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব বিএসইসি’র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম অংশগ্রহণ করেন।

অন্যদিকে ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে  ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এর চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, এএমডি ও সিএফও মোঃ জিয়াউল আলম, সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 

পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি প্রয়োজন এবং এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দেশের স্বনামধন্য গ্রুপ ওয়ালটনের শীর্ষ কর্তাদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে দেশের  অন্যতম বৃহৎ গ্রুপ ‘ওয়ালটন’ এর অধীনে থাকা মৌলভিত্তিসম্পন্ন বৃহৎ ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে কিভাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি করা যায় তার সার্বিক বিষয় নিয়ে গ্রুপের শীর্ষ কর্তাদের সাথে আলোচনা হয়। সার্বিকভাবে সফল ও ফলপ্রসূ উক্ত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় পুঁজিবাজারে ‘ওয়ালটন’ এর ফ্রি ফ্লোট শেয়ার বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়ন, সাসটেইনেবল ও গ্রিন বন্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসাথে এসময় ওয়ালটন গ্রুপের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বিষয়ে কথা হয় এবং তাদের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ আনয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ অন্যান্যের মধ্যে বলেন, “ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কর ও ভ্যাট দাতাদের মধ্যে একটি এবং দেশের অর্থনীতিতে এর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। ওয়ালটনের বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠিত  কোম্পানি রয়েছে এবং তারা দেশে ও বিদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে।” তিনি আরো বলেন, “পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানির সুফল জনসাধারণের কাছে পৌছানোর সুযোগ তৈরি হয়। দেশের বৃহৎ ব্যক্তি উদ্যোগের কোম্পানি ও গ্রুপগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের জনসাধারণও উপকৃত হবেন।” কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও তিনি দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারে বিএসইসি গঠিত টাস্কফোর্সের কথা উল্লেখ করে বলেন, “টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সংস্কার বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বিএসইসি।”

দেশের পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে দেশের বড় ও স্বনামধন্য গ্রুপগুলোর সাথে নিয়মিতই আলোচনায় বসছে বিএসইসি। ইতোমধ্যে এধরণের বেশ কিছু বৈঠকে বিএসইসি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এধরণের প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে খুব শীঘ্রই ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি সম্ভব হবে বলে বিএসইসি আশাবাদী। 

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)