BD Japan software architectur BASIS

সফটওয়্যার আর্কিটেকচার ও প্রযুক্তি উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সফটওয়্যার আর্কিটেকচার উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সফটওয়্যার আর্কিটেকচারের উপর ট্রেনিং অফ ট্রেইনার্স (ToT) প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রোগ্রামে বেসিসের সদস্য কোম্পানির ১৭ জনসহ মোট ৩০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠান গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার বারিধারার আসকট প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের আইসিটি খাতে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক সফটওয়্যার প্রকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ‘সুপার আর্কিটেক্ট’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দ্যেশে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অংশীদারিত্বে পরিচালিত হচ্ছে এই বি-টপএসই (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) প্রোগ্রাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি এম রাশিদুল হাসান এবং বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান এ.কে.এম আহমেদুল ইসলাম বাবু, ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), বিসিসি, ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া, উপাচার্য, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মোঃ গোলাম সারওয়ার, পরিচালক, ম্যানেজার (অপারেশন) এবং ইনচার্জ (বিডি আইটেক), বিসিসি, বাবুকুরোকামি মিনামি, প্রতিনিধি, জাইকা বাংলাদেশ, শোজি আকিহিরো, জাইকা বিশেষজ্ঞ, প্রধান উপদেষ্টা, জাইকা-বিসিসি-বেসিস টিসিপি।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি এম রাশিদুল হাসান আর্কিটেকচার এবং সফটওয়্যার খাতে পেশাদারদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আন্তঃসাংস্কৃতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশ ও জাপানের সংস্কৃতি ও শিল্পের অনন্য দিকগুলো গ্রহণ করে উদ্ভাবন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।

বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান এবং বেসিসের পক্ষ থেকে বি-টপএসই’র কোঅর্ডিনেটোর এ.কে.এম আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, “বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এই ধরনের সহযোগিতা শুধু প্রযুক্তি উন্নয়ন নয়, বরং পেশাদারদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপানের উন্নত প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশের সৃজনশীল দক্ষতার সংমিশ্রণ ভবিষ্যতে উভয় দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।”

টিওটি (ToT) প্রোগ্রামটি বৈশ্বিক বাজারের গতিশীল চাহিদা মোকাবেলায় প্রশিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে আর্কিটেকচার এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। অংশগ্রহণকারীরা শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার এবং সহকর্মীদের সাথে সহযোগিতা করার সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)