Tulip Siddik Bribe

ঘুষের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দুর্নীতির অভিযোগে দেশটিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের কাজ পাইয়ে দিতে রাশিয়ার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুস নিয়েছেন অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে শেখ রেহেনার মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের নামও রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল বৃহস্পতিবার এ অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে দ্যা সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। যদিও টিউলিপ নিজে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মন্ত্রিসভা অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি।

টিউলিপ যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না।

টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিউলিপের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা আছে এবং দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপগুলোর দেখাশোনো করার ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে। তিনি তার মন্ত্রীর দায়িত্ব অব্যাহত রাখবেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোতে তার কোনো সম্পৃক্ততা থাকার দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন স্টারমার।

আরেক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, টিউলিপকে আগামী মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে একটি চিঠি দেবে। এর মাধ্যমে তিনি বিদেশি অপরাধ তদন্তের অধীনে পড়বেন।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১৭ আগস্ট প্রকাশিত এক রিপোর্টে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। এতে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পাঁচ বিবাদী পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছেন।

এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ববি হাজ্জাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)