Gaza War Seize

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৫ মাসের যুদ্ধ শেষ করতে অবশেষে একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল ও হামাস। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কাতারের রাজধানী দোহায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা এ চুক্তিতে সই করেন। চুক্তিটি কার্যকর হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি)। খবর বিবিসি।

চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি সরাসরি উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে চুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে ১৫ মাস ধরে চলা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের অবসান হতে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তি নিশ্চিত করেছেন— যাতে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে থাকা সব বন্দিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই সংঘাতের কারণে সৃষ্ট বিশাল কষ্ট লাঘব করাই প্রথম অগ্রাধিকার, এবং জাতিসংঘ ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।

যুদ্ধবিরতির খবর জানার পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনেককে রাস্তায় উল্লাস করতে দেখা গেছে।

এই চুক্তির ফলে গাজা শহর এবং দক্ষিণ গাজা থেকে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এখন তাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ফিলিস্তিনিদের জন্য চুক্তির অন্যতম দিক হলো, এর ফলে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ছয়শ ট্রাক ত্রাণ এবং চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করতে দেয়া হবে। গাজায় অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোকে সচল রাখতে ৫০টি জ্বালানী ভর্তি লরিও পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে চু্‌ক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিজয়ের কারণে। এর আগে তার সামাজিক মাধ্যম, ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মিদের জন্য আমরা একটি চুক্তি করছি। তারা খুব দ্রুতই মুক্তি পাবে।

এ চুক্তিটি কয়েকটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। এই সময়ে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। প্রতিজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনী বন্দিকে মুক্তি দেবে।

এখনো গাজায় চলছে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ। হামাস নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, বুধবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েল আক্রমণ করে। এরপর গাজায় গণহত্যা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বিবিসির যাচাইকৃত তথ্য অনুযায়ী, হামাস এখনো ৯৪ জন বন্দিকে ধরে রেখেছে, যাদের মধ্যে ৩৪ জন মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)