ক্যারিবীয় অঞ্চলে হ্যারিকেন ইরমার আঘাত, নিহত ৭
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক: ক্যারিবীয় অঞ্চলে মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেন ইরমায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। এতে এরই মধ্যে তছনছ হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়টি ক্যারিবীয় দ্বীপাঞ্চল পুয়ের্তো রিকোতোতে শক্তভাবে আঘাত হানা শুরু করতে পারে।
হ্যারিকেনের কবলে পড়া ক্যারিবীয় ছোট দ্বীপ বারবুডা ‘কোনোমতো বাসযোগ্য’ বলে সতর্ক করা হয়েছে। এই দ্বীপের ফ্রান্স নিয়ন্ত্রিত এলাকা সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট বার্টসে ঝড় ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলেও হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে।
হ্যারিকেন কবলিত এলাকাগুলোতে প্রবেশ ও যোগাযোগে দুরূহ হয়ে পড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে আরো দুটি ঝড় হ্যারিকেনে রূপ নেওয়ার মতো শক্তিশালী হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন কেন্দ্র জানিয়েছে, পঞ্চম ক্যাটাগরির হ্যারিকেন ইরমা এই মুহূর্তে উত্তরাঞ্চলীয় ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছে।
এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি পুয়ের্তো রিকোর উত্তর দিক দিয়ে বয়ে গিয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নাগাদ ডোমিনিকান রিপাবলিকের উপকূলের কাছে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ইরমার কারণে পুয়ের্তো রিকোতে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হয়েছে। এই ঝড়ের মধ্যে ঘরে থাকার নির্দেশ সত্ত্বেও অনেক বাসিন্দা পানি, খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনতে দোকানে ছুটে গেছেন। অঞ্চলটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ে ক্ষতি কমাতে কয়েক দিনের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।
হ্যারিকেন ইরমা প্রথম আঘাত হানে দুই দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডায়। এতে বারবুডায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি বলেছেন, ইরমায় বারবুডার ৯৫ শতাংশ ভবন কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে অ্যান্টিগায় কোনো প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাউনি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট বেথলেমিতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
(এমআইআর/ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭)