শেয়ারবাজারে আসতে পাঁচ ব্যাংককে বিএসইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শর্ত অনুযায়ি তিন বছরের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছর পার হয়েছে। তালিকাভুক্তির বিষয়ে দেখাচ্ছে নানা অযুহাত। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে শর্ত পরিপালনের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি থেকে চিঠি দেওয়া এই পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড এবং সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম (ক্যাপিটাল ইস্যু) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারে আসার রোডম্যাপ জানানোর জন্যও চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এই বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠির কপি প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্যাংকগুলোকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিপ্রায় পত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ি ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করার তিন বছরের মধ্যে বিএসইসির যথাযথ অনুমোদন গ্রহণপূর্বক ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য উদ্যোক্তা মূলধনের সমপরিমান শেয়ার ইস্যু করার শর্ত পরিপালন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেই শর্ত পরিপালন না করে অধিক সময় ধরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাকগুলোর বরাবরে এই চিঠি ইস্যু করা হলো।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় এমনিতেই ব্যাংক বেশি। নতুন করে আর ব্যাংকের অনুমোদন না দিয়ে শাখা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেবার আওতা বাড়ানোর পক্ষে ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে ২০১০ সালে নতুন ব্যাংক দেওয়ার উদ্যোগের শুরুর দিকে এর বিরোধিতা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা দেন, সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছায় নতুন ব্যাংক দেওয়া হবে। এরপর সুর নরম করে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের অনুমোদন দেয়।

তবে ব্যাংকগুলো অনুমোদনের সময় বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। যার মধ্যে তিন বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়া ছিল অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওইসব শর্ত পরিপালনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব ব্যাংক কার্যক্রমে আসে। কিন্তু সেই শর্ত পরিপালনে এখন গড়িমসি করছে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএল//