Photo_Daraz Bangladesh to Recognize Incredible Innovations in the Local Media Industry

আসছে "বাংলাদেশ মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২২"

মিডিয়া খাতে অসামান্য উদ্ভাবনী সমূহের স্বীকৃতি দেবে দারাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবর্ণ সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণ রুপে বাস্তবায়িত করতে দেশের মিডিয়া খাতে উদ্ভাবনীর বিকাশ এবং প্রবৃদ্ধির প্রচার অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে স্থানীয় মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে যে উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো দেশকে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিচ্ছে, সেগুলোকে স্বীকৃতি দিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘোষণা করেছে। 

১৭ জুলাই, ২০২২ তারিখে রাজধানীর পার্লামেন্ট মেম্বারস’ ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে “বাংলাদেশ মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২২” নামক এই পুরস্কারটির ঘোষণা দেয় দারাজ। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান; এসবিকে ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির; দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার- তাজদীন হাসান এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো) -সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, যাদের বক্তব্যের মাধ্যমে এই অ্যাওয়ার্ডের মূখ্য উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 

মিডিয়া খাতে উদ্ভাবনী সক্ষমতা অনুশীলনের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন নতুন পথ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে উৎসাহ দিতেই মূলত এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করছে দারাজ বাংলাদেশ। দেশের মিডিয়া পাবলিশার্স, বিজ্ঞাপনদাতা এবং সম্প্রচারকদের মধ্যে ডিজিটাল রূপান্তর, কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং সংবাদ প্রচারণার মতো ক্ষেত্রসমূহে উদ্ভাবনীর অনুশীলন এবং আধুনিক মিডিয়া প্রোডাকশনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীর প্রয়োগকে “বাংলাদেশ মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২২” এর মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হবে। ইয়ুথ এনগেজমেন্ট, ব্রডকাস্ট ইনোভেশন, ডিজিটাল ইনোভেশন এবং প্রিন্ট ইনোভেশন – এই ৪টি মূল বিভাগের আওতায় ২৪টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত বিজয়ীদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এন্ট্রি  ফর্ম এবং সহায়ক ডকুমেন্ট অনলাইনে জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ আগস্ট, ২০২২। পুরুষ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন - https://www.mediainnovationawardsbd.com/।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান এমপি বলেন, “দারাজ আয়োজিত বাংলাদেশ মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এর অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দানে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি, এবং এই উদ্যোগ সে স্বপ্নটিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি সহ যারা গোটা দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করছেন, তাদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই”।

এই আয়োজনে অংশীদারিত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এসবিকে ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির বলেছেন – “প্রযুক্তি খাতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং মিডিয়া সহ সকল ক্ষেত্রে এর পূর্ণ শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল রুপান্তরের প্রশ্নে আমাদের গণমাধ্যমের সামনে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি, আর প্রযুক্তির সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এই বিষয়টিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারি”।

অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান বলেন, “বাংলাদেশের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। দর্শক ও পাঠকদের কনটেন্ট উপভোগের ক্ষেত্রে বেশ রূপান্তর ঘটছে; কারণ, ডিজিটাল ট্র্যান্সফরমেশনের ফলে কনটেন্টের ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। গ্লোবাল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে মিডিয়ার সম্পৃক্ততা অপরিহার্য, তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির বিষয়টি পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি মনে করি, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এ শর্তটি আমরা পূরণ করতে পেরেছি। ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য মিডিয়ার ভূমিকাকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ। এ বিষয়টিকে বিবেচনা করে, তাদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্যই আমরা মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এর উদ্যোগ নিয়েছি।”

অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল রিবুট লিমিটেড এবং ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস বাংলাদেশ। এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার এসবিকে ফাউন্ডেশন। 

দারাজ
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে ৫ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যে কোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)