সরকার গঠনে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট-কনজারভেটিভ পার্টি চুক্তি

বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: যুক্তরাজ্যে থেরেসা মের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সরকার গড়তে উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে কনজারভেটিভ পার্টি। এর ফলে পার্লামেন্টে ডিইউপির ১০ জন এমপির ভোট এখন থেরেসা মের পক্ষে যাবে।

সোমবার লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, এই চুক্তির কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ড আগামী দুই বছরে অতিরিক্ত শত কোটি পাউন্ড বরাদ্দ পাবে। ডিইউপির নেতা আরলেন ফস্টার বলেন, চুক্তিটি ‘বিস্তৃত পরিসরে’ হয়েছে এবং ‘এটি উত্তর আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের জন্য ভালো’ হবে। তবে কিছু সমালোচক বলছেন, এই চুক্তি স্রেফ সংকট ঠেকিয়েছে।

চুক্তিতে ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডে সরকারি বিনিয়োগ সমন্বয় করার অনুরোধ করা হয়েছে। তিন পৃষ্ঠার নথিতে চুক্তির বিস্তারিত শর্তগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। ডিইউপি বলছে, পার্লামেন্ট যত দিন স্থায়ী হবে, তত দিনই এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে। দুই বছর অন্তর এটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি পাউন্ড বাড়ানো হবে। এ ছাড়া ৫০ কোটি পাউন্ডের বরাদ্দ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এসব অর্থ উত্তর আয়ারল্যান্ডের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর করছেন কনজারভেটিভ পার্টির চিফ হুইপ গ্যাভিন উইলিয়ামসন (ডানে) ও ডিইউপির নেতা জেফরি ডোনাল্ডসন। ছবি: রয়টার্সচুক্তি অনুযায়ী, ব্রেক্সিট ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থন দেবে ডিইউপি। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত উত্তর আয়ারল্যান্ডের কৃষকদের নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। উভয় রাজনৈতিক দলই ‘গুড ফ্রাইডে’ চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে থেরেসা মের সঙ্গে করমর্দন করেন ডিইউপির নেতা আরলেন ফস্টার। কনজারভেটিভ পার্টির চিফ হুইপ গ্যাভিন উইলিয়ামসন ও ডিইউপির নেতা জেফরি ডোনাল্ডসন নিজ নিজ দলের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আরলেন ফস্টার বলেন, এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের সরকারব্যবস্থায় স্থিতি এনে দেবে এবং ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া চালু রাখতে সাহায্য করবে। এ চুক্তি যুক্তরাজ্যের সব সম্প্রদায়ের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, যুক্তরাজ্যের জন্য চুক্তিটি ‘বেশ ভালো’। তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে সমৃদ্ধি দেখতে চাই আমরা। এ জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যকার বন্ধন ও মূল্যবোধ আমরা ভাগাভাগি করি। এ বিষয়টিকে সুরক্ষিত রেখে আরও এগিয়ে নিতে চাই আমরা।’

(এসএএম্ ২৭ জুন ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)