৮ ব্যাংককে ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক: কৃষি ঋণ বিতরণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ৮ ব্যাংক। এসব ব্যাংককে ২ হাজার ৬৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। টাকা ফেরত দিলেও এর বিপরীতে ২ শতাংশ মুনাফা পাবে ব্যাংকগুলো।
তবে এ জন্য আট ব্যাংককে অপেক্ষা করতে হবে ১৮ মাস। আর যেসব ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণে সফল, তাদের মাধ্যমে এসব টাকা পুনরায় কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
রোববার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমিন, কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালক কানিজ ফাতেমা, পরিচালক দেবাশীষ সরকারসহ অন্য কর্মকর্তারা। এতে অংশ নেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
ডেপুটি গভর্নর সাজেদুর রহমান বলেন, নানা প্রতিকূলতার মাঝে যখন সব সেক্টর নিম্নমুখী ছিল তখন কৃষি আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। এটি আমাদের প্রাণশক্তি। বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের বেশিরভাগই কৃষি নির্ভর। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এ খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করা হচ্ছে প্রতি বছর। আগামী বছর থেকে পশুপাখি লালন পালনের জন্য ঋণ পাবেন। তাছাড়া নিজস্ব জমির পাশাপাশি লিজ নেওয়া জমির বিপরীতেও কৃষককে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছরের চেয়ে এবার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করে দেয়। গত ২০২২-২৩ অর্থবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদা বিবেচনায় মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা কৃষি এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সদ্য শেষ হওয়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ করেছে। যা ছিল অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ১০৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গত অর্থবছরে মোট ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন কৃষি ও পল্লি ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ঋণ পেয়েছেন ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ জন। ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৩ জন নারী পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকার কৃষি ঋণ।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//