জনপ্রতিনিধিদের আদর্শ বিক্রি না করার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: আদর্শ বিক্রি না করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভাচুর্য়ালি মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন। শুনেছি এটা নিয়ে টাকা পয়সার লীলা খেলা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি আমার এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানরা এমন না, তারা বিক্রি হবেন না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কারণে আপনারা শান্তিতে আছেন। তিনি বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার শিখিয়েছেন। তা নাহলে এ দেশের মানুষ অধিকার সম্পর্কে জানত না। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন করতেন। কখনো নিয়মের বাইরে রাজনীতি করতেন না। তিনি সহিংসতার রাজনীতি করতেন না, মানুষ হত্যায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন গণতন্ত্রের। সেই গণতন্ত্রের জন্য ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারা বিশ্ব যখন এ ভাষণ শুনেছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে এ ভাষণ হবে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। এ ভাষণ শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছিল, আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। সেদিন খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা আসলে বাংলাদেশকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশের ওপর আবার পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযজ্ঞ চালায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহাবুবুল আলম খোকন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজল হোসেন রিমনসহ অরও অনেকে।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//