রাজধানীর যেসব পয়েন্টে সুলভ মূল্যে মিলবে দুধ, ডিম,মাছ ও মাংস
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম রোজা থেকে রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাসব্যাপী সুলভমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিপণন কর্মসূচি। স্থায়ী ৫টি স্থানসহ রাজধানীর মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে। আগামী ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।
রোববার (১০ মার্চ) প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, রাজধানীর ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে রাজধানীর নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) কাকরাইল এলাকায়।
এছাড়া স্থায়ীভাবে মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর ও কাজি আলাউদ্দিন রোডে (আনন্দবাজার)।
এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
প্রাণীসম্পদমন্ত্রী জানান, পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য পিকআপভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার মধ্যে পণ্যগুলো নিয়ে ভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিপনন শুরু হবে।
এছাড়া রমজান মাসে বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের কাছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪টি নির্ধারিত স্থানে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু চত্বর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ), সেগুন বাগিচা বাজার ও মেরুল বাড্ডা বাজার, এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার), যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট), মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণার) ও পলাশী মোড়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
রুই-মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা করে বিক্রয় করা হবে। প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মাছ বিক্রি চলবে বলে জানা মন্ত্রী।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//