আইসিসিবির ত্রৈমাসিক বুলেটিন
বাংলাদেশে এফডিআই আকর্ষণে ভিয়েতনামের কৌশল পর্যালোচনার পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রফতানি আয় বাড়ানো ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার অন্যতম প্রধান উপাদান প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই)। অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রবর্তন ও অন্যান্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ সত্ত্বেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এফডিআই আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পর ভিয়েতনাম চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনে এসব বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের এফডিআই আকর্ষণের জন্য ভিয়েতনামের কৌশল পর্যালোচনা করা উচিত বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আইসিসিবি বলছে, বাংলাদেশ চলতি বছর ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, বাজেটের ঘাটতিসহ পরিশোধের ভারসাম্য ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, রেমিট্যান্স সংকোচন, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য ও এনার্জি খাতে চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা, ঋণ খেলাপির মাধ্যমে পঙ্গু-দুর্বল ব্যাংকিং খাত ইত্যাদির মতো একাধিক ক্ষেত্রে অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
বুলেটিনে আরো বলা হয়, আমদানীকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বছরে প্রায় আনুমানিক ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া নবায়নযোগ্য ও ক্লিনটেক বিকল্পের অভাব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস অনুসন্ধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশ জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, তেল ও এলএনজি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আইসিসিবি চলতি বছর দেশের অর্থনীতির বেশকিছু সম্ভাবনার কথাও বলেছে। যেখানে বলা হয়েছে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প যেমন পদ্মাবহুমুখী সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজারের রেলওয়ে সংযোগ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সুফল পাওয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//