বাংলাদেশ ব্যাংক

সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র

নতুন করে আর কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়ম, দুর্নীতি আর ঋণ জালিয়াতির কারণে গত দুই বছর থেকে আলোচনায় দেশের ব্যাংক খাত। এ সমস্যা সমাধানে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আপাতত পদ্মা, বিডিবিএল, ন্যাশনাল, বেসিক ও রাকাবের বাইরে অন্যকোনো ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করবে না এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ব্যাংক সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত মাসে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডুবতে থাকা আরেক বেসরকারি ব্যাংক পদ্মা।

এরপর একে একে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে ডুবতে থাকা সরকারি বেসিক ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবর বেরিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে চাওয়া ১০ ব্যাংকের বাইরে নতুন করে আর কোনো ব্যাংক একীভূত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই দশ ব্যাংক একীভূত করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে একীভূত করার প্রয়োজন দেখা দিলে তখন ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, ব্যাংক মার্জারের আমরা সরকারি-বেসরকারি ৫টি প্রপোজাল পেয়েছি। আপাতত এই প্রস্তাবগুলোর বাইরে আর নতুন কোনো প্রস্তাব আমরা নেব না। এই ৫টি প্রস্তাবের ব্যাংকগুলো একীভূত করার পরে প্রয়োজন হলে নতুন মার্জারে যাওয়া হবে। এগুলোর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোনো ব্যাংক মার্জার করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র বলেন, ব্যাংক একীভূত করতে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অডিটর নিয়োগ, সম্পদ ও দায় ঠিক করা, শেয়ার দর ঠিক করা, শেয়ার অংশ র্নিধারণ ও আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এই পাঁচ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে আমরা (বাংলাদেশ ব্যাংক) অভিজ্ঞতা নেবে, অভিজ্ঞাতারও প্রয়োজন আছে। তারপর দেখা যাবে। সাধারণত, দুটি ব্যাংক একীভূত করার সব ধরনের প্রস্তুতি ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন-থেকে চার বছর লেগে যেতে পারে।

৫টি প্রস্তাবের মধ্যে কোন কোন ব্যাংক রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকগুলোর মধ্যে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক রয়েছে। বাকি নামগুলো তো গণমাধ্যমে চলে এসেছে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)