Reform

১৫ বছর সরকারি চাকরির পর সবধরনের সুবিধাসহ স্বেচ্ছায় অবসরের সুযোগসহ একগুচ্ছ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ বছর চাকরির পর সব ধরনের সুবিধাসহ স্বেচ্ছায় অবসরের নতুন সুযোগসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধান সংশোধনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটি।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দুটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কমিশন দুটি হলো জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, চাকরির ১৫ বছর পূরণ হলে কোনো সরকারি কর্মচারী অবসর নিতে চাইলে সরকার তা মঞ্জুর করতে পারবে। এছাড়াও সরকারি চাকরিজীবীদের ২৫ বছর পূর্তিতে বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার প্রতিবেদনে। ২০১৮ সালের সিভিল সার্ভিস অ্যাক্টের ধারা ৪৫ অনুসারে, সরকার ইচ্ছা করলে ২৫ বছর চাকরির পর কোনো কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারত। তবে নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, এ বিধান বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা

সরকারি কর্মকর্তারা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না বলেও সুপারিশ করেছে কমিটি। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি সার্ভিসের অধীনে থাকা সমিতিগুলোর কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা বা দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

গাড়ি ক্রয়ের ঋণ সুবিধা বাতিলের সুপারিশ

সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সচিবালয়ের উপ সচিবদের জন্য গাড়ি ক্রয়ের ঋণ এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। তবে সচিবালয়ের বাইরে অন্যান্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা এ সুবিধা পান না। এ বৈষম্য দূর করতে ও সরকারের ব্যয় সংকোচন করতে সুবিধাটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনে।

বেতন স্কেল নির্ধারণের নতুন পরিকল্পনা

দেশের মুদ্রানীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনডেক্স বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর মূল বেতন বৃদ্ধি করা গেলেও তা ৫ শতাংশের বেশি না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে। এ জন্য একটি স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন হলে সরকারি চাকরির নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা আরো স্পষ্ট হবে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)