সিএসিইতে “এস্টাব্লিশমেন্ট অব কমোডিটি এক্সচেঞ্জ -বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ” বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (পিএলসি)-এর উদ্যোগে “এস্টাব্লিশমেন্ট অব কমোডিটি এক্সচেঞ্জ -বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ” বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিএসিই (পিএলসি)-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মালটিপারপাস হলে এই ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় (অর্থ বিভাগ ও এফআইডি), এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং সিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিএসইসির সম্মানিত কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং সভাপতিত্ব করেন সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান । এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসই-র পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, প্রফেসর ডক্টর মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ।
কর্মশালায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য রেগুলটরি, বিজনেস এবং টেকনোলজি বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন সিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ।
এই কর্মশালায় বাংলাদেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিস্তারিত তুলে ধরা হয় এবং আশা প্রকাশ করা হয় যে, ন্যাশনাল পলিসির মাধ্যমে দ্রুত গতিতে কাজটি শেষ করার জন্য সকল মন্ত্রনালয় এবং রেগুলটরি প্রতিষ্ঠানের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। আরও আশা করা হয় যে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগনের উপযোগী কমোডিটি প্রোডাক্টের লেনদেন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, সিএসই ২০২৪ সালে বিএসইসি থেকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়। এরপর সিএসই ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ তৈরির টেকনোলজিক্যাল কাঠামো ডেপলয় করেছে, প্রক্রিয়াটি এখন পরীক্ষাধীন আছে এবং আশা করছে মার্চ মাসের শেষের দিকে মক ট্রেড শুরু করা যাবে।
সিএসইর সম্মানিত চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, এক্সচেঞ্জ স্থাপনের শুরুর জন্য, যদিও প্রস্তাবনাতে ৬টি প্রোডাক্টের ব্যাপারে বলা হয়েছে তবে প্রথম ধাপে দুএকটি প্রোডাক্টের মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শুরু হলে, তা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মূল বাজার কাঠামোর সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । সিএসই কর্তৃক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে ।
সম্মানিত কমিশনার ফারজানা লালারুখ তার উদ্বোধনি বক্তব্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার সাহসী পদক্ষেপের জন্য সিএসইর প্রশংসা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য আহবান করেন। তিনি আরও আশা ব্যক্ত করেন যে, বিএসইসি তার রেগুলেটরি বিষয়ক কাজগুলি দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করবে এবং একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকদেরকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে, যেন দ্রত সময়ে বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে পারে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//