ডিজিটাল সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সাফল্যে বড় দাবিদার চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী

প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: দেশ স্বাধীন হবার পর নানা সংকটে কেটেছে বাংলা ও বাঙালির দিনকাল। সেই সংকট কাটিয়ে আজকের এই ডিজিটাল সুন্দর বাংলাদেশের পথে আসতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। আমাদের আজকের সাফল্যের অনেক বড় একটা দাবিদার দেশের চলচ্চিত্র।
আশির দশক থেকে শুরু হওয়া সংকটের দিনগুলোতে চলচ্চিত্র মানুষকে বিনোদিত করেছে। হতাশা থেকে উত্তরণের পথ দিয়েছে। আর সেই সময়টাতে দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। নায়করাজ রাজ্জাক যুগের পর কাঞ্চন যুগের কথা আজও মনে রেখেছে দেশের মানুষ। চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কাঞ্চনের যুগ ছিলো অনবদ্য। তার বহু সিনেমা ইতিহাস হয়ে আছে। আমি মনে করি তার আরও কাজ করা উচিত। নতুন প্রজন্মে যারা সিনেমা নির্মাণে জড়িত তাদের উচিত ভার্সেটাইল এই অভিনেতাকে নিয়ে সিনেমা বানানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিয়াস কাঞ্চন একজন চমৎকার মনের মানুষ। তার মেধা ও মননশীলতা তিনি চলচ্চিত্রে ঢেলেছেন, চলচ্চিত্রকে বিকশিত করেছেন। তার আদর্শ আমাদের সব প্রজন্মের নায়কদের অনুসরনণ করা উচিত। এতোবড় সুপারস্টার হয়েও বিনয় ধরে রাখা অনেক বড় ব্যাপার। আজকে এতো মানুষ একত্রে হয়েছি ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই। সেই ভালোবাসা বহমান থাকুক। জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ককে অভিনন্দন।’
গতকাল সোমবার ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত হয় ইলিয়াস কাঞ্চনের চলচ্চিত্রে চল্লিশ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। আবেগঘন সেই সন্ধ্যায় তিন প্রজন্মের নায়ককে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ চলচ্চিত্রের শতাধিক মানুষ। ফারুক, চম্পা, আহমেদ শরীফ, জাভেদ, কাজী হায়াৎ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহানুর রহমান সোহান, শাবনাজ, আমিন খান, শাবনূর, পপি, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, ফাহমিদা নবীসহ ইলিয়াস কাঞ্চনের চলচ্চিত্র জীবনের প্রযোজক ও নির্মাতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল হয়ে উঠেছিলো এক টুকরো ফিল্মপাড়া।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় তার। বিপরীতে ছিলেন তখনকার মোস্ট গ্ল্যামারাস নায়িকা ববিতা। ছবিটির পরিচালক ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অমর নির্মাতা সুভাষ দত্ত।
(এসএএম/ ০২ জানুয়ারি ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)