মডেলিং মানে খোলামেলা পোশাক, ধারণা পাল্টাচ্ছেন হিজাবি মডেল!
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে অনেকেই খোলামেলা পোশাক পরিধান করাকে সাহসিকতার পরিচয় বলে মনে করেন। কিন্তু আসলেই এটি সাহসিকতা নাকি কর্পোরেট জগতে নারীদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা? তবে সেই সাহসিকতার সংজ্ঞাটাকে ভিন্নভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন হালিমা আদেন নামে এক মার্কিন-আফ্রিকান সুপারমডেল।
তিনি হিজাব পরে র্যাম্পে হাঁটেন। বিশ্বের মধ্যে হালিমা আদেন প্রথম সুপারমডেল যিনি এটির জন্য পরিচিতি পান। মডেলিং মানে খোলামেলা পোশাক, এই ধারণাটিকে ভেঙে ফেলেছেন তিনি। হাঁটার সময় কেবল মুখ ও হাত-পায়ের তালু অনাবৃত রাখেন হালিমা।
মডেলিংয়ের জন্য নিজেকে বদলাতে বিশ্বাসী নন তিনি। বরং কাজের ধরনকে বদলাতে চান। সেই বিশ্বাসেই এই পেশায় ক্যারিয়ার শুরু করেন। তবে শুরুতে তাকে নানা হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এখনো হালিমা তার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১৬ সালে প্রথমবার মাথায় হিজাব এবং গায়ে বুরকিনি চাপিয়ে ‘মিস মিনেসোটা ইউএসএ’ প্রতিযোগিতায় র্যাম্পে হেঁটে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হালিমা। তাকে দেখে চমকে উঠেছিলেন বিচারকরা। খোলামেলা পোশাক পরিহিত মডেলদের ভিড়ে তিনিই ছিলেন প্রথম সর্বাঙ্গ আবৃত মডেল।
ওই এক দিনেই ইন্ডাস্ট্রির মানসিকতা বদলাতে পারেননি তিনি। তবে শুরুটা করতে পেরেছিলেন।
১৯৯৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে সোমালিয়ান মা-বাবার ঘরে জন্ম হালিমার। তার বয়স যখন ছয় তখন পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। মিনেসোটার সেন্ট ক্লাউড স্কুল ও পরে সেন্ট ক্লাউড স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
২০১৬ সালে ওই প্রতিযোগিতার পর একটি মডেলিং সংস্থা তাকে তিন বছরের চুক্তিতে সই করিয়ে নেয়। মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর যে পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন সেটি মূলত তখন থেকেই শুরু হয়। হেঁটেছেন নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইক, মিলান ফ্যাশন উইকসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত ফ্যাশন উৎসবগুলোতে। এছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরের ম্যাগাজিনের জন্য ফটোশ্যুট কিংবা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার হয়েও মডেলিং করেছেন।
২০১৮ সালে ইউনিসেফের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হন হালিমা। এরপর থেকে শিশুদের অধিকার নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন।
(ডিএফই/০৯ আগস্ট, ২০২১)