হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান
ডেস্ক রিপোর্ট: শাহিবজাদা ফারহান দ্রুত ফিরলেও বাবর আজম ও হাসিবউল্লাহ খানের ব্যাটে প্রত্যাশিত শুরুই পেল পাকিস্তান। হাসিবউল্লাহ ফিরতেই পথ হারায় সফরকারীরা। বাবরও আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি না পেয়েই। এক উইকেটে ৬১ রান তোলা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত অল আউট হয়েছে মাত্র ১১৭ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় হোবার্টে রীতিমতো ঝড় তুললেন মার্কাস স্টইনিস। তারকা অলরাউন্ডারের ২৭ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টানা তিন টি-টোয়েন্টিতে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান।
হোবার্টে মাত্র ১১৮ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হলো না অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু শর্ট। শাহীন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের খানিকটা স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় মিড অনে ইরফান খানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অজি ওপেনার। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে সেভাবে আলো ছড়াতে না পারা শর্ট ফিরেছেন মাত্র ২ রানে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে এটিই শাহীন আফ্রিদির প্রথম উইকেট।
পরের ওভারে জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে নিজের শিকার বানিয়েছেন জাহানদাদ খান। বাঁহাতি পেসারের বলে কভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে উসমান খানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। চারটি চারে ১৮ রানে ফিরেছেন তরুণ এই ওপেনার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই জাহানদাদের প্রথম উইকেট। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। বাকি সময়টা পাকিস্তানের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছেন স্টইনিস।
ইনিংসের নবম ওভারে ডানহাতি ব্যাটারের ঝড়টা বইয়ে গেছে হারিস রউফের ওপর দিয়ে। ডানহাতি পেসারের প্রথম চার বলে দুটি করে ছক্কা ও চার মেরেছেন স্টইনিস। সেই ওভার থেকে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ২২ রান। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকা জশ ইংলিসকে ফিরিয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি। ডানহাতি পেসারের স্লোয়ার লেংথ ডেলিভারিতে হারিসকে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ বলে ২৭ রান করা ইংলিস। টিম ডেভিডকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতে বাকি কাজটা একাই সেরেছেন স্টইনিস।
শাহীন আফ্রিদির করা ১১তম ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন স্টইনিস ও ডেভিড। সেই ওভার থেকে এসেছে ২৫ রান। আব্বাস আফ্রিদিকে ছক্কা মারার পর পর অজিদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান। এমন সময় নো বল দিয়ে খেলা শেষ করেন ডানহাতি এই পেসার। স্টইনিস ৬১ রানে এবং ডেভিড অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। ৫২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। বলের বিবেচনায় স্বাগতিকদের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ৭ টি-টোয়েন্টিতেই জয় পেয়েছে অজিরা।
এমন জয়ের দিনে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে অন্তত ৩০০ রান এবং ২০ উইকেট নিয়েছেন স্টইনিস। এমন কীর্তি আছে সাকিব আল হাসান হার্দিক পান্ডিয়া ও সিকান্দার রাজার। তাদের মাঝে দু’বার এমনটা করতে পেরেছেন কেবল রাজা। এদিকে পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন আব্বাস, জাহানদাদ ও শাহীন আফ্রিদি। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরুর পরও মাত্র ১১৭ রানে অল আউট হয়েছে পাকিস্তান। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন বাবর। এ ছাড়া হাসিবউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যারন হার্ডি তিনটি এবং স্পেন্সার জনসন ও অ্যাডাম জাম্পা দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//