Share Market Reliable by 6 Plan

পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে বিনিয়োগ সচেতনতা উন্নয়নসহ ৬ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ

ডেস্ক রিপোর্ট: পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে স্টক ইনডেক্সের নিয়মিত নিম্নমুখিতার মূল কারণ উদঘাটন, বিনিয়োগ স্বাক্ষর ও বিনিয়োগ সচেতনতার উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৬ ধরনের তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসি।

এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসইসির জরুরি সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এবং বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকরাও সভায় অংশ নেন।

সভায় পুঁজিবাজারে আস্থা বৃদ্ধির জন্য তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিকে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

৬ কর্মপরিকল্পনা:

স্টক ইনডেক্সের নিয়মিত নিম্নমুখিতার মূল কারণ উদঘাটন: যে সব ইন্ট্রুমেন্ট বা স্টক ইনডেক্সে বেশি প্রভাব ফেলে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে মার্কেট সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে সেই স্টকে সেল প্রেসার ছিল কি না, তার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

বিনিয়োগ স্বাক্ষর ও বিনিয়োগ সচেতনতার উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ: ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে টকশো এবং বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, বিআইসিএম ও বিএএসএম-কে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট শিক্ষনীয় ভিডিও তৈরিতে সমৃদ্ধ করা। সেই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত করা: পুঁজিবাজারে রাষ্ট্র মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানির শেয়ায় অফ-লোড করা, বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা এবং টেক্সটাইল ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের দেশীয় লাভজনক কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা।

অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ দেওয়া: আকর্ষণীয় কর ছাড় সুবিধা দিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন সীমিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারের তালিকায় আসতে উৎসাহ দেওয়া।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি: পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য দেশের আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া।

আসন্ন জাতীয় বাজেটে বিনিয়োগকারীদের কর ছাড় সুবিধার অন্তর্ভুক্তি: লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর ছাড় সুবিধা প্রদান এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওপর কর ছাড় সুবিধা প্রদানের বিষয়টি আসন্ন জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে সুবিধা বৃদ্ধির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)