সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৩৭ অধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠিয়েছে ইসরায়েল
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৩৭ জন অধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (৪ অক্টোবর) টার্কিশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে তাদের ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়। এদিকে তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন বিকালে তারা ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন।
তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিশিয়া ও তুরস্কের নাগরিকরা রয়েছেন। এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে তাদের ৩৬ নাগরিক রয়েছেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ১৩৭ অধিকারকর্মীকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। ইসরায়েলের স্থানীয় সময় বিকাল দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রামোন বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে উড়োজাহাজটি তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হয়।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, শনিবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে অধিকারকর্মীদের বহনকারী উড়োজাহাজটি ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা ‘মানবিক সহায়তা’র ছদ্মবেশে এলেও তাদের কর্মকাণ্ড, ইসরায়েল, ইতালি ও গ্রিসের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা শান্তিপূর্ণভাবে স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং তাদের নৌযানে বহন করা মানবিক সাহায্যের স্বল্পতা প্রমাণ করে, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল হামাসের পক্ষে উসকানি দেয়া, মানবিক সহায়তা নয়।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ইসরায়েল চায় এসব উসকানিদাতাকে দ্রুত ফেরত পাঠাতে। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। একাধিক বিদেশী সরকার এসব উসকানিদাতাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য নির্ধারিত ফ্লাইট গ্রহণে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। তা সত্ত্বেও এ প্রচারমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত সবাইকে যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে কিছু নৌযান নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে এতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অন্য নৌযানগুলো যুক্ত হয়। বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, মানবাধিকার কর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে বহন করা ৪৪ নৌযানের বহরের সবকটি নৌযানকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে আটক করে ইসরায়েল। সেগুলোকে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে আরোহীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বিবা/এসএএম//