প্রক্সির চুক্তি ৫ লাখ টাকায় কিন্তু মুক্তি মিলল ২ হাজারে

প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন রোববার প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়ার) দেয়ার আগেই চবি ছাত্রলীগ নেতা, শিক্ষার্থী ও ভর্তিচ্ছুসহ ৭ জন ধরা পড়ে বিশ্ববদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির জালে। কিন্তু জনপ্রতি ২ (দুই) হাজার টাকাতেই মুক্তি মেলে সবার।

তারা হলেন- আইইআর ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্থগিত কমিটির সহ-সম্পাদক শহীদুল্লাহ নিশাত (পটিয়া), একই বিভাগের তার সহপাঠী মুহাম্মদ রায়হানুল হক (রাউজান), ভর্তিচ্ছুক মোহাম্মদ ফাহাদ (নোয়াখালী), সাঈদ আল কবীর (টাঙ্গাইল), মুশফিকুর সালেহীন (মানিকগঞ্জ), মিজানুর রহমান (নোয়াখালী) ও মধ্যস্থতাকারী চট্টগ্রাম কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. তুহিন।

 

যদিও এর আগে আটকের পর চবি ছাত্রলীগ নেতা ও আইইআর বিভাগের শিক্ষার্থী (২০১২-১৩) শহীদুল্লাহ নিশাত ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী (২০১২-১৩) রায়হানুল হক প্রতি ভর্তিচ্ছুর সঙ্গে ৩-৫ লাখ টাকায় চুক্তি করে বলে জানায়। তারা প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি করার চুক্তিবদ্ধ ছিল বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।

কিন্তু রোববার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ৭ জনকে এ অর্থ জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুন্নেসা শিউলী।

তিনি বলেন, দুই হাজার করে ৭ জনকে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যেহতু ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষার হলে যেতে পারেনি, বুঝতে পারেনি। তাই এ শাস্তি।

তবে প্রক্সির দুই মূল হোতা ও মধ্যস্থতাকারীর লঘু শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে একসঙ্গে ধরা হয়েছে। তাই তাদেরও একই শাস্তি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি আবাসিক ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে ভর্তিচ্ছুদের মূল মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন, সরকারি স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রাতভর তাদের মোবাইলে আসা ফোন কলের কথোপকথনের মাধ্যমে রোববার সকালে বাকি ৪ ভর্তিচ্ছু ও তাদের মধ্যস্থতাকারী তুহিন ধরা পড়ে।

 

(জেআর/এএইচএন/ ৩০ অক্টোবর, ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)