মাংস ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট
প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: এবার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দাবি আদায় না হলে মাংস ব্যবসায়ীরা কর্মসূচি পালন করবেন। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করতে গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। তারা যদি এবার আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাহলে ৩০ এপ্রিল আবারও আন্দোলনের ঘোষণা আসবে। প্রাথমিকভাবে আবার ধর্মঘটের চিন্তা নিয়েছি, যা হতে পারে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
এর আগে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে মাংস ব্যবসায়ীরা গত ১৩-১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রাখেন। পরে সরকারের আশ্বাসে সে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। তবে ধর্মঘটের সুযোগে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম বাড়িয়ে দেন তারা।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে ৪৭০-৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, যা ধর্মঘটের আগে ছিল ৪২০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন বাজারের তথ্যানুযায়ী খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, যা আগে ছিল ৬৫০-৭০০ টাকা।
মাংস ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো হলো- ইজারাদারদের যেসব শর্ত মেনে হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা, মাংসের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, নির্দিষ্ট স্থানে জবাইখানা নির্মাণ এবং ট্যানারি বন্ধ নয় স্থানান্তর চাই।
মাংস ব্যবসায়ী নেতারা জানান, বর্তমানে ট্যানারি বন্ধ হওয়ায় গরু জবাই করলেও চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। বিভিন্ন বাজারে নির্দিষ্ট জবাইখানা না থাকায় যত্রতত্র গরু-ছাগল জবাই হচ্ছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। গরুর হাটে নানা ধরনের অনিয়ম বন্ধ না হওয়ায় কম দামে মাংস বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে ক্রেতারাও বেশি দামে মাংস কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। এ অবস্থায় লোকসান গুনতে গুনতে অনেক দোকানই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এজন্যই তারা সরকারের সঙ্গে বসতে চাচ্ছে।
(ইউএম/ ১৮ এপ্রিল ২০১৭)