অবশেষে বাতিল হচ্ছে ওটিসি মার্কেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা: অবশেষে বাতিল হতে যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) আওতাধীন ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট । উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মার্কেটটি দীর্ঘ ১২ বছর পর ভেঙ্গে ফেলা হবে। আর ওটিসি মার্কেটে অবস্থানরত কোম্পানিগুলোকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম (এসএমই) ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করা হবে। এ জন্য একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ডিএসই ও সিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, মূলত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা যাচাই করে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম (এসএমই) ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে আর থাকতে চায় না, সেগুলোকে ওটিসি মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করা হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়। বিশেষ করে উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগুজে শেয়ার ডিমেট না করা, নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া, লভ্যাংশ প্রদান না করা এবং সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন না করা কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে ওটিসিতে শাস্তি স্বরূপ স্থানান্তর করা হয়। তবে কোম্পানি বা উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হলেও কার্যত শাস্তি পাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
আরও জানা গেছে, বর্তমানে ডিএসই’র ওটিসি মার্কেটে ৬১টি ও সিএসই’র ওটিসি মার্কেটে ৪৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। ওইসব কোম্পানির মধ্যে প্রাথমিকভাবে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে (এসএমই) ১০টি, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে ৩২টিকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এছাড়া এক্সিট প্ল্যান বা তালিকাচ্যুত আওতায় রয়েছে ১৯টি কোম্পানি। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বিএসইসি।
এদিকে ওটিসি বাতিলে বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। কারণ, ওটিসির কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিনিয়োগ আটকে রয়েছে। এমনকি ওই শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা ওই শেয়ারগুলো বিক্রিও করতে পারছেন না। এখন দীর্ঘদিন পর গলার কাঁটা সরতে যাচ্ছে তাদের। এ জন্য বিএসইসিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
(এসএএম/১৭ আগস্ট ২০২১)