নো টাইম টু ডাই নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পর জেমস বন্ড সিরিজের ২৫তম সিনেমা নো টাইম টু ডাই দিয়ে খুলছে ব্রিটেনের সিনেমা হল। আগামী সপ্তাহে যখন টিকিট বিক্রি শুরু হবে তখন বন্ড হিসেবে ড্যানিয়েল ক্রেগের তুমুল চাহিদার কারণে এটি যে করোনাকালে বক্স অফিসে সর্বোচ্চ হিট সিনেমা হতে চলেছে, তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেশটির সিনেমা ব্যবসায়ীরা।
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার শিডিউল পরিবর্তনের পর গোয়েন্দা সিরিজের ২৫তম সিনেমা নো টাইম টু ডাই ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের অংশ হিসেবে ব্রিটেনে মুক্তি দেয়া হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। বন্ড ম্যানিয়ার এ ছবি করোনা মহামারীপূর্ব চলচ্চিত্র শিল্পের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে প্রথম সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের সিনেমা ব্যবসায়ীদের বড় চেইন ওডিওনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যারল ওয়েলচ বলেন, এ মাসের শেষে বড় পর্দায় জেমস বন্ডের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আমরা আগ্রহভরে অপেক্ষা করছি। এটা ব্যবসার দারুণ ভালো মুহূর্ত। হলে সিনেমা ফিরে আসা নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা উৎসাহিত।
বন্ড হিসেবে ড্যানিয়েল ক্রেগের আগের চার সিনেমায় যুক্তরাজ্য বক্স অফিস থেকে আয় ছিল ৩০৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। আর বিশ্বজুড়ে আয় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন পাউন্ডের (৩.২ বিলিয়ন ইউএস ডলার) বেশি।
তবে এ-যাবত্কালে ক্রেগের সবচেয়ে বেশি আয় করা বন্ড সিনেমা ২০১২ সালের স্কাইফল, যেটি ১০৩ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছিল। যুক্তরাজ্যের বক্স অফিসে স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স এওয়াকেনসের পর এ-যাবত্কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা এটি। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া কোয়ান্টাম অব সোলেস ড্যানিয়েল ক্রেগের সবচেয়ে কম সফল এবং কম আয় করা সিনেমা। সিনেমাটির আয় ছিল মাত্র ৫১ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড।
যুক্তরাজ্যের বক্স অফিসে মহামারীর সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় করা দুটি সিনেমা হলো পিটার র্যাবিট টু এবং স্কারলেট জোহানসের ব্ল্যাক উইডো। পিটার র্যাবিট সিরিজের দ্বিতীয় ছবিটির আয় ছিল ২০ দশমিক ৩ মিলিয়ন পাউন্ড। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্ল্যাক উইডো আয় করে ১৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড। সিনেমা ব্যবসায়ীরা আত্মবিশ্বাসী, আগের সব সিনেমার আয়ের রেকর্ড ম্লান করে দেবে জেমস বন্ড সিরিজের নতুন ছবি নো টাইম টু ডাই।
যুক্তরাজ্যের আরেক সিনেমা চেইনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী বলেন, যুক্তরাজ্যে মহামারীকালে বন্ড হতে যাচ্ছে বড় সিনেমা। এটা হবে কভিডপূর্ব বা কাছাকাছি সময়ের মতো। যদি বিশ্বজুড়েই এটি বড় সিনেমা হয়ে ওঠে তাহলে ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস নাইনের ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের বেঞ্চমার্ক বন্ডের দুটি সিনেমাই পেরিয়ে যেতে পারে। এটা নির্ভর করবে কোন দেশের সিনেমা মার্কেট কবে খুলবে তার ওপর। অস্ট্রেলিয়ার মতো এখনো বন্ধ চীন ও জাপানের সিনেমা হল। তবু বলা যায়, বন্ড হিসেবে ড্যানিয়েল ক্রেগ বক্স অফিসে আসছেন বড় ধামাকা হয়ে।
করোনা মহামারীকালে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমা
১. পিটার র্যাবিট টু (আয় ২০.৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
২. ব্ল্যাক উইডো (আয় ১৮.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
৩. টেনেট (আয় ১৭.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
৪. ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস নাইন (আয় ১৬.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
৫. দ্য সুইসাইড স্কোয়াড (আয় ১৩.৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
(ডিএফই/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১)