BSEC Chairman Resqued by Army

বিএসইসিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজিরবিহীন মব জাস্টিস, চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় বিএসইসি থেকে বের হতে সক্ষম হন তারা। সংস্থাটির ইতিহাসে এর আগে কখনই শীর্ষ কর্তাদের এ ধরনের মব জাস্টিসের সম্মুখীন হতে হয়নি। এমনকি বিশ্বের অন্য কোথাও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এ ধরনের ঘটনার কোনো নজির নেই। বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের জন্য গতকালের দিনটিকে বেঁধে দিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যথায় আজ থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। নানা কারণে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ওপর আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার ঘটনায় সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

জনস্বার্থে বিএসইসির কর্মচারী চাকরি বিধিমালার ৬৩ ধারা ও সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয় গত মঙ্গলবার। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করে কয়েক দফা দাবি জানাতে থাকে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—‘জরুরি সভা ডেকে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, বিতর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণ দর্শানো বন্ধ করতে হবে এবং এরই মধ্যে দেয়া কারণ দর্শানোসংক্রান্ত চিঠিগুলো প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।’

এছাড়া দাবিতে উল্লেখ করা হয়, ‘১২৭ জনের নিয়োগের বিষয়ে কমিশন কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ ও তিনদিনের মধ্যে আপিল করে কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন ও অপেশাদারমূলক দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। এ দাবিগুলো না মানা হলে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএসইসির চেয়ারম্যান এসব দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাসদস্যদের ডাকা হয়। বিএসইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরে সেনাসদস্যরা বিএসইসির ভেতরে ঢুকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

এ সময় সেনাসদস্যরা বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের নামফলকও তুলে ফেলা হয়। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ কমিশনাররা কার্যালয় ত্যাগ করেন। এর পর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা হিসেবে বিএসইসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সেনাসদস্যরা সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিএসইসি ভবন থেকে বের করে দেন।

বের হয়ে যাওয়ার পর বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্থাটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম। এ সময় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, রিপন কুমার দেবনাথসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো কমিশনারদের খারাপ আচরণ, বিভিন্ন কোম্পানির তদন্তের আলোকে কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক শোকজ করা এবং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। তবে তারা এ দাবি মেনে নেননি। বরং সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে ডেকে এনে তারা আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করিয়েছেন। এতে আমাদের ছয়জন কর্মী আহত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে পারছি না। তাই আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করছি। তারা যদি বুধবারের মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে পুরো কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন। আমরা সরকারের কাছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরছি। সরকারকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বিএসইসির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে মো. মাহবুবুল আলম বলেন, তদন্ত কমিটির একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এখন পর্যন্ত ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামান্য কারণে কারণ দর্শানো নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি সরকারের কাছে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের চাকরি বিধি অনুসারে আমরা সরকারের কাছে এ ধরনের দাবি জানাতে পারি না। তাই আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছি।’

চাকরিবিধি অনুসারে এটিও করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএসইসির কর্মীদের অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে।’

এদিকে গতকাল রাতে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পক্ষ থেকে গতকালের ঘটনার বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘বিগত দিনের পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে। এ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি সাতটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান, যার আওতায় রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিএসইসির কিছু কর্মকর্তা। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ বছর চাকরি সমাপ্ত করায় বিধি মোতাবেক কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে গত ৪ মার্চ অবসর প্রদান করা হয়। এ ব্যবস্থা নেয়ার কারণে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের বিএসইসির বোর্ড রুমে চলমান সভায় জোরপূর্বক ঢুকে অবরুদ্ধ করে। তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেয়, সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয় এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অরাজক ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে ও পেশিশক্তি প্রদর্শন করে। একই সঙ্গে তারা চেয়ারম্যানের সদ্য যোগ দেয়া একান্ত সচিব (পিএস); যিনি সরকারের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব তাকে লাঞ্ছিত করে। তারা দাবি করে এ দুটি ইস্যুতে নেয়া সিদ্ধান্ত তৎক্ষণাৎ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কমিশনকে তৎক্ষণাৎ পদত্যাগ করতে হবে। এ চরম উচ্ছৃঙ্খল ও ভীতিকর পরিস্থিতি ৪ ঘণ্টা ধরে চলে। কমিশন অবরুদ্ধ থাকার খবরে এবং বিএসইসি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী বিএসইসিতে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

বিএসইসি ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অনেকেই বলছেন, গতকালের পরিস্থিতির পেছনে দুই পক্ষেরই দায় রয়েছে। বিএসইসির বেশকিছু কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। অতীতে খায়রুল কমিশন ও শিবলী কমিশনের সময়ে বিএসইসির বেশকিছু কর্মকর্তা অতি উৎসাহী ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক সুবিধা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কমিশনে বেশকিছু দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা থাকলেও তাদেরকে সেভাবে মূল্যায়ন না করারও অভিযোগ রয়েছে।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ঢালাওভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সবাইকে অপরাধীর চোখে দেখা ঠিক নয়। কিন্তু বর্তমান কমিশন শুরু থেকেই বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে করছে। এতে কর্মীদের মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া তদন্ত কমিটিতে বাজারসংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এটিকে বিতর্কিত করা হয়েছে। এ কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হলে সেটিও বিতর্ক তৈরি করবে। কমিশনের কর্মচারীদের নিজস্ব চাকরিবিধি অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ ছিল। সেটি করা হলে কোনো বিতর্ক তৈরি হতো না। বেশকিছু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং কমিশন থেকে এমন মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে যে ‘এ চাকরিতে ঝুঁকি আছে জেনেই আপনারা এখানে এসেছেন’।

বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গতকালের বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের ঘটনাটিকে নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, এক্ষেত্রে অতীতের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ নিজেদের বাঁচানোর সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। তাছাড়া শিবলী কমিশনের সময়ে বিএসইসিতে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এ বিষয়টি আদালতেও বিচারাধীন। ফলে সংস্থাটির কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে যোগ্য কেউ অবিচার বা বঞ্চনার শিকার হবে না বলে কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি বার্তা দেয়ার প্রয়োজন ছিল, যেটি করা হয়নি। ফলে তাদের মধ্যেও কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল। তাছাড়া বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কারণে বর্তমান কমিশনের ওপরেও বাজারসংশ্লিষ্টদের ক্ষোভ রয়েছে। বাজারের জন্য আশাব্যঞ্জক কোনো উদ্যোগ কমিশন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি দায়ী। বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারী, অংশীজনদের পাশাপাশি বিএসইসির নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বর্তমান কমিশনের ওপর ক্ষুব্ধ। এক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে কৌশলী উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা গেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএসইসির নিজস্ব চাকরিবিধি থাকা সত্ত্বেও সরকারি চাকরি আইন সংস্থাটির কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কিনা, সেটি সরকার যাচাই করে দেখতে পারে। সে সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বিশৃঙ্খলা ও হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা কাম্য নয়। দাবি আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আরো উপায় ছিল। সেগুলো অনুসরণ করা যেত।’

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)