কুয়েত

বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপন করতে চায় কুয়েত

বিনিয়োগবার্তা ডেস্কঃ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি রোডম্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ও কুয়েত। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ। এ ছাড়া কুয়েতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। সূত্র: বাসস।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ এর এ বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।

বৈঠকের পর নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একটি রোডম্যাপ ও একটি অভিযোগ্য কর্মসূচি প্রস্তুত করতে চান।

ড. মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সূত্র ধরে তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বাছাই করতে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের ব্যাপারে তার দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন এবং তাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং প্রস্তাবিত তেল শোধনাগারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি প্রদানের ব্যাপারে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। তিনি বলেছেন, আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় সামরিক প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দেব।

১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে কুয়েতের দিকে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং এই সহযোগিতার স্বীকৃতিস্বরূপ কুয়েত তাদের একটি সামরিক ইউনিটের নামকরণ করে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কুয়েত তাদের কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করে এবং বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাঁচটি মেগা প্রকল্পের জন্য কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে আরও ১০ কোটি মার্কিন ডলার গ্রহণে কুয়েতের সঙ্গে আলোচনার একবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্যন্য।

এর আগে শেখ হাসিনা বুধবার সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন। সমসাময়িক বিশ্বে একজন বিখ্যাত শ্রমিক নেতা হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন স্টিফান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, তার সরকার কর্মীদের স্বার্থের জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে তিনি তার পরামর্শ চান। শেখ হাসিনা একইসঙ্গে তাকে অবহিত করেন যে, প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে মহামারি করোনা ভাইরাস চলাকালেও কোন বাংলাদেশি গার্মেন্টস শ্রমিকরা চাকরি হারায়নি।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা হোটেল লটে নিউইয়র্ক প্যালেসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিফ্রিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

 

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম


Comment As:

Comment (0)