মতামত/বিশ্লেষণ
শুধু নতুন ট্রেক নয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে
মঞ্জুরুল আলম: নি:সন্দেহে নতুন ট্রেক অনুমোদন দেওয়া ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা আশা করছি, এই নতুন ট্রেকগুলোর মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে। কিন্তু নতুন ট্রেকগুলোর ডিলার ইনভেস্টমেন্টে যদি ন্যূনতম ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়, তাহলে মার্কেটের গভীরতা অনেক বাড়বে। সেইসাথে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজে বের করার জন্য এই নতুন ট্রেকগুলোকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। অন্যথায়, শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক শেয়ার ব্যবসার মধ্য দিয়ে ট্টেকগুলোর টিকে থাকা কষ্টকর হবে। অল্পসংখ্যক বিনিয়োগকারী নিয়ে অনৈতিক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে তারা- যা বাজারের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন ট্রেকগুলোকে বিনিয়োগকারী শিক্ষা কার্যক্রমে মনযোগী হতে হবে। এ শিক্ষার ব্যাপ্তি আরো বাড়াতে হবে। নতুবা নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টি হবে না। তৃণমূলের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে এ শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচ্যুইটি ফান্ডের টাকাকে শেয়ারমার্কেটে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এ মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়বে।
এছাড়া আমরা জানি, সাধারণ বীমা এবং জীবন বীমার প্রচুর অলস অর্থ পড়ে আছে। এসকল অলস টাকা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার জন্য অনেকদিন ধরেই কথাবার্তা চলছে। যদি নীতিগতভাবে এসকল অর্থ বাজারে নিয়ে আসা যায়, তাহলে বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে এবং বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে।
আমরা আরো জানি, প্রবাসীরা তাদের কষ্টের উপার্জিত টাকা রেমিটেন্সের মাধ্যমে দেশে পাঠায়। যার বেশির ভাগ অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে অলস পড়ে থাকে। যদি তাদেরকে সহজভাবে নিশ্চিত বিনিয়োগযোগ্য কোন প্রোডাক্ট বা মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চার বা বন্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেয়ারমার্কেটে নিয়ে আসা যায়, তাহলে ক্যাপিটাল মার্কেট এর গভীরতা আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
লেখক: পুঁজিবাজার বিশ্লেষক, চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও), এনসিসিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড।