বিনিয়োগ সম্মেলন: প্রাপ্তির হিসাব নিকাশ
ড: মিহির কুমার রায়:
ভূমিকা: সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। একসময় ক্ষুদ্র ঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। দুনিয়া বদলাতে চাইলে ব্যবসা সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠামো বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সবাই মিলে উপার্জন করে মানুষের ভাগ্য বদল করাটা স্বর্গীয় অনুভূতি। কার্বন নিঃসরণ বাদ দিয়ে আমরা নতুন সভ্যতা গড়তে পারি। বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী। তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম সম্মিলিতভাবে পৃথিবীকে বদলে দেবে। তারা সরকারের অপেক্ষায় বসে থাকবে না। সেই নতুন বিশ্ব গড়তে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করা শুধু এদেশেই বিনিয়োগ নয়, বরং এর অর্থ বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার অংশ হওয়া। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমেই সম্ভব দারিদ্র্য বিমোচন। আর সামাজিক ব্যবসার আদর্শ স্থান বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও ৯ই এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে ইহার উদ্বোধন করেন যা ১০ই এপ্রিল শেষ হয়।
সম্মেলনের কর্ম পরিকল্পনা:
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই সম্মেলনের আয়োজক। ৪০টিরও বেশি দেশের ৩,০০০ এরও বেশি প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান, অংশীদারিত্ব গঠন এবং ব্যবসার ভবিষ্যৎ নির্ধারণকারী শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে এ সম্মেলন। বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি বলেন, বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা তা উন্মোচনের পথেই আছি। একবার বিনিয়োগকারীরা এলে, আমরা চাই তারা খুশি হোক এবং বাংলাদেশের জন্য প্রতিনিধি হয়ে উঠুক। তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত পাঁচটি প্রধান খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেছি যেমন নবায়নযোগ্য শক্তি, ডিজিটাল অর্থনীতি, পোশাক ও টেক্সটাইল, স্বাস্থ্যসেবা ও ফার্মা, এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ। প্রতিটি বিষয় আলাদা সেশনে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রচি বলেন, চীনসহ উত্তর এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের দেশগুলোর ব্যবসায়ীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং এখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তারা আরও জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশেষভাবে জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিন দুটি ট্র্যাকে অনুষ্ঠানটি হয়েছে। প্রথম ট্র্যাকে ৬০ জনের বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে নিয়ে একটি স্পেশাল ফ্লাইট চট্টগ্রাম গিয়েছেন। সেখান থেকে কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইয়ে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে রাতে ফিরে আসেন। যারা গিয়েছিলেন তারা হলেন সেইসব উদ্যোক্তা, যারা মনে করছেন তাদের সেখানে একটি ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে হবে। তাদের জায়গা-জমি লাগবে। তাদের জন্য আমরা কী ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারি তা তারা সরেজমিন দেখেছেন। দ্বিতীয় ধাপে রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে কথা হয়। বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএলওর সঙ্গে কিছু এনগেজমেন্ট রয়েছে। তাদের এফডিআই সম্পর্কিত কিছু ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সম্মেলনের প্রত্যাশা প্রাপ্তির হিসাব:-
এ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, যা দিয়ে দেশের নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করা হবে। পিছিয়ে নেই দেশীয় শিল্পগোষ্ঠীও। ইনসেপ্টা গ্রুপ স্টার্টআপ খাতে গতি সঞ্চারের জন্য ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। যা আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকেও ব্যাপক উৎসাহ জোগাবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মোট পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করে হাছান মোহিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এর মধ্যে রয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় ও চারটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো - ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, দ্য এন্টারপ্রিনিউর গ্রুপ, জেপিজি ইনভেস্টমেন্ট ও হাছান মোহিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এই পাঁচটি সমঝোতা স্মারক দেশের স্বাস্থ্য, আর্থিক ও প্রযুক্তি খাতে নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করবে। ব্যক্তি খাতভিত্তিক চারটি সমঝোতা চুক্তি দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগে ইতিবাচক প্রবাহ সৃষ্টি করবে। সম্মেলনের শেষ দিনে বিডা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল ইনক-এর মধ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সুপেয় পানির শোধনাগার নির্মাণে কাজ করবে। এর ফলে দেশের জনগণ নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সুইডিশ কোম্পানি নির্লন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বিএসইজেড) ১৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ব্রিকস গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) চলতি বছর বাংলাদেশে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চেয়েছে। কানাডার কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে স্পেনের সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম, খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স এবং চীনের অ্যাপারেল কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ। চীনের খ্যাতনামা পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার ফলে দুই-এক বছরের মধ্যে দেশে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মোট বিনিয়োগের ১০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় টেক্সটাইল ও ডাইং খাতে এবং পাঁচ কোটি ডলার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে গার্মেন্টস শিল্পে বিনিয়োগ করবে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখতে আগামী মে মাসে ২০০ বিনিয়োগকারী সফরে আসবেন। কয়েকটি চীনা কোম্পানি ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল ট্রানজিশন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন, উইন্ড টারবাইনের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং অফশোর ফটো ভোলটাইক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলায় পরিকল্পিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদিকে ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপ মাতারবাড়ীতে মুক্ত বাণিজ্য জোন তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা নানা সমস্যার কথাও বলেছেন - তোমাদের নীতি ভালো, তোমাদের দেশের নীতি নির্ধারকদের বড় বড় কথা শুনতেও ভালো লাগে, কিন্তু তোমাদের মাঠ পর্যায়ে গেলে আমরা অনেক জটিলতা দেখতে পাই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণসহ স্বাস্থ্য খাতে শত মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিডা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি অভিপত্র সই সহ বিভিন্ন চুক্তি হয়েছে। বিনিয়োগ সম্মেলনে চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ৩৬ বিনিয়োগকারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বিএসইজেড বা জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রথমে তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। তারা সিঙ্গারের কারখানাও ঘুরে দেখেন। এসময় বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারোকাওয়া চি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কী ধরনের আধুনিক কারখানা স্থাপন করা সম্ভব, তার ভালো উদাহরণ হতে পারে বিএসইজেডে স্থাপিত সিঙ্গারের কারখানা। মাত্র ২০ মাস সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে সিঙ্গার। সেজন্য তারা বিনিয়োগ করেছে ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এই কারখানায় প্রতি মাসে ৫০ হাজার পিস (ইউনিট) ফ্রিজ ও ১০ হাজার পিস (ইউনিট) টেলিভিশন তৈরি হচ্ছে।
উপসংহার:
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন উত্তর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আয়োজিত অন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন একটি দূরদর্শী ও বিজ্ঞোচিত পদক্ষেপ। দেশবাসী অত্যন্ত আশাবাদী, আগামীর বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ। বিডা জানিয়েছে, এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগের একটি পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে। তবে বাধা অনেক, যেমন - বৈশ্বিক মন্দা, আর্থিক খাতে সিদ্ধান্তহীনতা, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব সহ নানা কারণে দেশের অর্থনীতি খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা নীতির ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকা। রয়েছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাসহ আরও কিছু বিষয়ে চ্যালেঞ্জও।
ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সম্মেলনের তৃতীয় দিনে প্যানেল আলোচনায় দেশি বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা এমন অভিমতই দেন। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ নীতি ও কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন তারা। তাই বিনিয়োগের স্বার্থে শুধু নীতির পরিবর্তনই নয়, এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক পরিচালক, বার্ড (কুমিল্লা), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//