grmt

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আধিপত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাকশিল্পের বাজার ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা। বিশ্বজুড়ে নানা সমীকরণ ও জটিলতায় মার্কিন বায়ার এবং রিটেইলার প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাংলাদেশমুখী। গত ৮ মাসে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই রপ্তানি হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার তৈরি পোশাক।

বিশ্বখ্যাত মার্কিন রিটেয়লার প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের চাহিদা অনুযায়ী ৩ ক্যাটাগরির ৩০ লাখ পিস তৈরি পোশাক চলতি মাসেই শিপমেন্টের জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে এ গার্মেন্টস কারখানায়। আর তাই বায়ার প্রতিষ্ঠানের কাজ দ্রুত বুঝিয়ে দিতে খোদ মালিককেই কারখানায় এসে তদারকি করতে হচ্ছে। এই চিত্র এখন মার্কিন বায়ার কিংবা রিটেয়লার প্রতিষ্ঠানের অর্ডার নিয়ে কাজ করছে এ ধরনের সব গার্মেন্টসের।

নির্ধারিত সময়ে পণ্য বুঝে নিতে মার্কিন বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাংলাদেশের গার্মেন্টেসের দিকেই ঝুঁকছে।
 
ইন্ডেপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, 'গত সময়ের তুলনায় বর্তমানে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। অর্ডারের সংখ্যা বাড়ছে। এতে করে কাজের চাপও অনেক।

বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে মার্কিন বাজারে রফতানি হয়েছে ৫০ হাজার ২৪২ কোটি টাকার তৈরি পোশাক। অথচ এর আগের বছর এ সময়ে রফতানি হয়েছিল ৩৩ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার পণ্য, যা চলতি সময়ের তুলনায় ১৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার কম।

এমনকি চলতি বছরের প্রথম দু'মাসেই সব রেকর্ড ভেঙে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের ১৩ হাজার ৪২৭ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে।
 
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, 'করোনা পরবর্তী এই সময়ে পোশাকের অর্ডার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পোশাকশিল্প।'
 
করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের শোরুমগুলো খুলতে শুরু করায় যেমন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। তেমনি করোনা লকডাউনের সময় শুধু বাংলাদেশেই চরম ঝুঁকি নিয়ে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছিল। আর তাই মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত পণ্য কিনতে বাংলাদেশকেই বেছে নিয়েছে। সেই সঙ্গে করোনার সময় যেসব তৈরি পোশাক রফতানি পর্যায়ে আটকা পড়েছিল, সেগুলোও এখন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে।
 
বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, 'রফতানির এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে আমরা ৪১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারব বলে আশা করি।

২০২০-২১ অর্থবছরে পৃথিবীর বিভিন্ন বায়ার প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশ ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রফতানি করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ২০ শতাংশ ক্রেতা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নানা বায়ার প্রতিষ্ঠান।

বিনিয়োগবার্তা/এসএল//


Comment As:

Comment (0)