ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলালিংকের আইটি ইনকিউবেটর সেন্টার

প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: ছোট ও মাঝারি ডিজিটাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহ প্রদান এবং ১০টি বিজয়ী স্টার্টআপসকে এক বছরের জন্য পূর্ণ সহযোগিতা দেবে বাংলালিংকের আইটি ইনকিউবেটর সেন্টার।

বিজয়ী ১০টি স্টার্টআপস হলো, বিডিরেটস হোল্ডিং লিমিটেড, সেলিসকোপ, হিরোস অব ৭১ মুক্তি ক্যাম্প, খুঁজুন ডট কম, ৬ এক্সিস টেকনোলজিস, ইশকুল, প্রযত্নে, ফিটফাইন্ডার, অ্যাপ্লিকেশনককপিট এবং ইন্টারেক্টিভ আর্টিফ্যাক্ট।

বুধবার নগরীর কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ার হাইটেক পার্ক ভবনে স্টার্টআপস প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন আসিফ আহমেদ বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে আমরা তরুণদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। এই মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। আগামীর ডিজিটাল যুগের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে বাংলালিংক নিজেকে প্রস্তুত করছে। আইটি ইনকিউবেটরের মতো এই চমৎকার উদ্যোগ আমাদের ডিজিটাল সেবাসমূহ প্রদানে সহায়তা করবে এবং আমাদের ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত করবে।

স্টার্টআপস ১০ প্রতিষ্ঠান

বিডিরেটস হোল্ডিং লিমিটেড: এটি বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তিগত আর্থিক প্ল্যাটফর্ম। যেটি তাদের জন্য ওয়ান-স্টপ সেবা। এতে গ্রাহকরা একটি ওয়েবসাইটেই পাবেন পারসোনাল লোন, ক্রেডিট, কার লোনসহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা। বিডিরেটস হোল্ডিং লিমিটেড চলতি বছর মার্চে তাদের যাত্রা শুরু করে।

হিরোস অব ৭১ মুক্তি ক্যাম্প: এটি একটি অনলাইন সিঙ্গেল প্লেয়ার স্ট্র্যাটেজি গেম। (এটি হিরোস ৭১ সিরিজের তৃতীয় পর্ব)। এ গেম ডিজাইন এবং ভিজুয়ার অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ।

খুঁজুন ডট কম: এটি একটি সার্চইঞ্জিন। এতে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরেরও কন্টেন্ট থাকবে। এটি বাস্তবিক এবং একটি প্রশ্নের জন্য অনেকগুলো সঠিক ফল প্রদর্শন করবে। এটিও অনলাইন এবং গুগল প্লে স্টোরে পাওয় যাচ্ছে।

সেলিসকোপ: সেলিসকোপ একটি মোবাইল এবং ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন, যা বিতরণ ও বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের চ্যানেল সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলিতে দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। অনলাইনে খুচরা অর্ডারের মাধ্যমে এটি কাগজের মূল্য কমাবে এবং তাৎক্ষণিক অর্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের সময় বাঁচাবে। ব্যবস্থাপকরা অনলাইনেই প্রতিবেদন দেখতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশনটি ইতোমধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেডসওরথ্ এবং ডাইমেনশন বিডি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছে।

এক্সিস টেকনোলজিস: এটি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের অ্যাম্বেডেড সিস্টেম, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ইন্টারফেসিং ইলেট্রনিক ডিভাইস অ্যান্ড কমপোনেন্ট, ইলেকট্রোমেকানিকেল ডিভাইস, সেন্সর টেকনোলজি, মোশন প্ল্যাটফর্ম, অ্যারোডাইনামিক্স, ফ্লুইড ডায়নামিকস, থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি অ্যান্ড র্যাপিড প্রোটোটাইপিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে। তাদের স্মার্ট ক্যামেরা ডেস্কট সিএনসি রাউটার, থ্রিডি প্রিন্টার ইতোমধ্যেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ছয় মাসের মধ্যেই আরও কিছু পণ্য বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে।

ইশকুল: এর স্টার্টআপের নাম প্রযুক্তি নেক্সট এবং এটি স্মার্ট স্কুল ইআরপি ইশকুল-এর জন্য পুরস্কৃত হয়। শিক্ষার্থী, বাবা-মা, শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিষদের জন্য মোবাইল অ্যাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম ক্লাউড স্কুল ইআরপি। এটি শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকের মধ্যে ৬০ শতাংশ দূরত্ব দূর করবে এবং ৮০ শতাংশ ক্লারিকাল কাজ কমাবে। এটি ২০১৬ সালে বাজারে আসে এবং তাদের ৬টি স্কুলে ১২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

প্রযত্ন: এটি জিয়ন’র একটি প্রচেষ্টা। আঞ্চলিক ফার্মাসিসমূহ এবং কাটিং এজ টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি তিন বছর আগে যাত্রা শুরু করে। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ৩১টি এবং তিনটি জেলায় (কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ) ফার্মাসি পরিচালনা করছে।

ফিটফাইন্ডার: হিডবক্স কোম্পানি সফটরওয়্যার উন্নয়ন খাতে কাজ করছে। মূলধারার ব্যবসাকে সহযোগিতা করাতে তারা মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণ নিয়েও কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে তারা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে যাত্রা শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

অ্যাপ্লিকেশনককপিট: এক স্থান থেকে বিভিন্ন তথ্য পেতে এটি ইন্টারপ্রাইজের জন্য একটি ইন্টিগ্রেটিং টুল। করপোরটদের ডিটিজাল হতে এটি সাহায্য করে। ইতোমধ্যে এটি বাজারে এসেছে এবং ডেনমার্ক ও ভারতে বিক্রি শুরু হয়েছে।

ইন্টারেক্টিভ আর্টিফ্যাক্ট: যেসব প্রতিবন্ধীদের চলাফেরা করতে সমস্যা তাদের এক্সারসাইজের উদ্দেশে এই কার্যক্রমটিকে সাজানো হয়েছে। এটি গেমভিত্তিক এক্সারসাইজের মতো কাজ করবে। এর ডেমো প্রস্তুত রয়েছে।

(শামীম/ ১৪ জুন ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)