সিএন্ডএফ এজেন্ট

লাইসেন্সিং বিধিমালায় মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বিধি

কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে দুদিনের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা সিএন্ডএফ এজেন্টদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী বিধি যুক্ত আছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। বারবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হলেও বাজেটে কোনো সংশোধনী আনা হয়নি। এর প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি সারাদেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শামছুর রহমানসহ অনেকে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ জারির পর ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বারবার প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। এর পর কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ প্রণয়নের সময় ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হলেও তা গুরুত্ব না দিয়েই বিধি জারি করা হয়। সংগঠনটির দাবি, এমন অবস্থায় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবণায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপ-বিধি সংশোধনীর প্রস্তাব দেয়া হলেও বাজেট প্রস্তাবনায় কোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লাইসেন্স নবায়ন না করা প্রসঙ্গে লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০১৬ ও ২০২০ তুলে ধরে সংশোধন প্রস্তাবনায় বিধিটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। লাইসেন্স হস্তান্তর প্রসঙ্গে বিদ্যমান বিধিটি উল্লেখ করে তা শিথিল করার সুপারিশ করা হয়।

শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করারও আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া এইচএস কোড ও সিপিসি ভুলের কারণে জরিমানা আরোপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ বাতিলসহ অযৌক্তিক কারণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঊত্থাপন করার বিধান বাতিলের আহ্বান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এসব দাবি নিয়ে এর আগেও সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেছিল সংগঠনটি।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//

 


Comment As:

Comment (0)