যুক্তরাজ্যে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি

ইউনাইটের গবেষকদের সমীক্ষা প্রতিবেদন

অধিকতর মুনাফার লোভে যুক্তরাজ্যে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বজুড়ে চলমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই উৎপাদন ও বিপণন ব্যয়ের তুলনায় পণ্যের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কৌশল অবলম্বন করে অধিকতর মুনাফা আদায় করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। যুক্তরাজ্যের বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনাইটের গবেষকদের এক সমীক্ষায় এ চিত্র উঠে এসেছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত শীর্ষস্থানীয় ৩৫০টি কোম্পানির ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইউনাইট।

গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে এসব প্রতিষ্ঠানের গড় মুনাফা ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে তা বেড়ে ১০ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্থাৎ এফটিএসই ৩৫০ গ্রুপে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর গড় মুনাফায় ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ৮৯ শতাংশ উল্লম্ফন ঘটেছে।

২০২১ সালে যুক্তরাজ্যে টেসকো, সেইনসবারিস ও আসডা সম্মিলিতভাবে ৩২০ কোটি পাউন্ড মুনাফা অর্জন করেছে। অতিমারীপূর্ব সময়ের তুলনায় তা প্রায় দ্বিগুণ। ইউনিলিভার ও নেসলের মুনাফা এবং মার্জিন (প্রতি ডলার বিক্রির বিপরীতে প্রাপ্ত মুনাফা) গত ১৮ মাসে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, মুনাফা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নিজেদের মধ্যে নীরব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শতশত পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। কভিড অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেসব পণ্যের মূল্য আগে থেকেই বেশি ছিল।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘অতিরিক্ত মুনাফার আকাঙ্ক্ষা ব্রিটেনের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে প্রতিফলিত করে। মূল্যস্ফীতি কিংবা রাষ্ট্র অনুমোদিত একচেটিয়া ব্যবসা, যেটিই প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নিক না কেন, এর কারণে মূল্যস্ফীতি আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আর সরকারও তাদের তা চালিয়ে যেতে দিচ্ছে।

ইউনাইট জানায়, তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ওপরও জরিপ চালিয়েছে, যারা সরাসরি যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিশ্বের চারটি বৃহৎ কৃষিপণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এডিএম, বানজ, কারগিল ও লুইস ড্রেইফাসের মুনাফা ২৫৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে এ কোম্পানিগুলো সম্মিলিতভাবে ১ হাজার ৪০ কোটি ডলার মুনাফা অর্জন করেছে।

যুক্তরাজ্যের মুদি বাজারের ৪৩ শতাংশ টেসকো ও সেইনসবারির দখলে। টেসকো জানায় চলতি অর্থবছরে তারা ২৫০ কোটি পাউন্ড মুনাফা অর্জনের আশা করছে। সেইনসবারির পূর্বাভাস অনুসারে, তাদের মুনাফার পরিমাণ ৭০ কোটি পাউন্ডে পৌঁছতে পারে।


Comment As:

Comment (0)