অনরাইন গণমাধ্যম

অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা করা হবে: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইন সংবাদমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা করার উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, "অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।"

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মিডিয়া তালিকাভুক্ত মুদ্রিত সংবাদপত্রগুলোর প্রচার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপনের হার নির্ধারিত হয়। কিন্তু অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা তৈরি না হওয়ায় এতদিনেও সরকারি বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো।

অথচ ইন্টারনেটের প্রসারে এখন মুদ্রিত সংবাদপত্রে চেয়ে অনলাইন সংবাদপত্র পাঠকের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। সে কারণে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা করার দাবি দীর্ঘদিনের।

সরকার ২০১৭ সালের ৫ জুলাই জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে। এর আওতায় অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে ইতোমধ্যে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট ২১৩টি নিবন্ধিত অনলাইন সংবাদপত্র রয়েছে। এছাড়া ১৭টি টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণ এবং ১৯৬টি মুদ্রিত সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণ নিবন্ধিত। 

বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ‘উন্নয়ন হয়েছে’ দাবি করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, "চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরো কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখন প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে, মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অধিদপ্তরের কাজে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করতে হবে।"

ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩ প্রয়োজনবোধে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

মতবিনিময়ে যোগ দেওয়ার আগে তিনি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)