বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন

বেইলি রোডে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে দোকান-রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল না: রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে দোকান-রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রসের দোকান) ও একটি চা-কফির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাকের দোকানও। 

বেইলি রোডের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজউক জানিয়েছে, ভবনটির অনুমোদন আটতলার। শুধু আটতলায় আবাসিক স্থাপনার অনুমোদন আছে।

রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয় কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেয়া হয়নি।’

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ভবনের নিচতলায় ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’, একটি জুস বার ‘শেখলিক’ এবং একটি চা-কফির দোকান ‘চুমুক’ ছিল। দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় পোশাকের দোকান ‘ইলিয়ন’, চতুর্থ তলায় রেস্তোরাঁ ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’, পঞ্চম তলায় রেস্তোরাঁ ‘পিৎজা ইন’, ষষ্ঠ তলায় দুটি রেস্তোরাঁ ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ এবং ছাদের একাংশে রেস্তোরাঁ ‘অ্যামব্রোসিয়া’ ছিল।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//

 


Comment As:

Comment (0)