জাহাজ নির্মান শিল্প

সীতাকুণ্ডে শিপ রিসাইক্লিং শিল্প পরিদর্শনকালে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে শিপ রিসাইক্লিংয়ে আগ্রহী নরওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেছেন, বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। ২০১০ সালে এ শিল্প দেখতে এসেছিলাম। হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। নরওয়ে এ শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করছে। এ খাতে সরকারের সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশে শিপ রিসাইক্লিং করতে নরওয়ের জাহাজ মালিকরা আগ্রহী হচ্ছেন।

রোববার সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার এরিক সোলেইমি, ঢাকার নরওয়ে দূতাবাসের সিনিয়র অ্যাডভাইজর মোরশেদ আহমেদ, কবির গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, পরিচালক আবদুল করিম দুলাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম, ইয়ার্ড সমন্বয়ক নেভাল ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন ও টেকনিক্যাল সমন্বয়ক পার্থ সারথী গুহ।

কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, ‘‌গ্রিন ইয়ার্ড করার জন্য ২০১৪ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু করি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আমাদের জানিয়েছিল ইয়ার্ডের উন্নয়ন করতে হবে। তখন আমরা গ্রিন সার্টিফিকেট পেতেও কাজ শুরু করি। ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পাই। এখন তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছি। গ্রিন ইয়ার্ডে দুই ধরনের খরচ। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং আর্থিক বিনিয়োগ। আমরা যন্ত্রপাতি কিনেছি। জনবল প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ আইএসও সার্টিফায়েড, এইচকেসি ২০০৯ কমপ্লায়েন্ট গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিভুক্ত এবং হংকং কনভেনশন অনুযায়ী নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ফ্যাসিলিটিভুক্ত।

জিকে/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)