হাসান মাহমুদ

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কোনো ধরনের যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান বলে অভিমত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার, আমরা যে কোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইরানের দাবি অনুযায়ী, সিরিয়ার ইরানের কনস্যুলেটে হামলার মধ্য দিয়েই ইরানকে আক্রমণ করার সুযোগ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

তিনি বলেন, গাজায় যে নির্বিচারে নারী ও শিশু, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হচ্ছে, আমরা চাই সেটি অবিলম্বে বন্ধ হোক। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সমস্ত যুদ্ধ বন্ধ হোক।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রীনির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর। দেশটি হসপিটালিটি সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের অফিসিয়ালি চিঠি দিলে আমরা এগুবো। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয়, তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রফতানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোমালিয়ান জলদস্যু কর্তৃক অপহরণকৃত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে আর্মড-গার্ড ছিল না জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওই পথে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজে নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছে। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে। আমিরাতের একটি বন্দরে যাবে জাহাজটি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে ১৮০ জন বিজেপি সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তারা বিজিবির অধীনে রয়েছে। আজ আবার নতুন করে ৯ জন এসেছে। তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি। তাদের নদী পথে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাদের বিমানে করে নেওয়ার জন্য। প্রথমে বিমানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুটা রাজি হলেও পরবর্তীতে তারা নৌপথে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশের অবস্থান যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বলে অভিমত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গাজায় যে নির্বিচারে নারী ও শিশু, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হচ্ছে, আমরা চাই সেটি অবিলম্বে বন্ধ হোক। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সমস্ত যুদ্ধ বন্ধ হোক। বাংলাদেশের বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার, আমরা যে কোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইরানের দাবি অনুযায়ী, সিরিয়ার ইরানের কনস্যুলেটে হামলার মধ্য দিয়েই ইরানকে আক্রমণ করার সুযোগ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রীনির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর। দেশটি হসপিটালিটি সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের অফিসিয়ালি চিঠি দিলে আমরা এগুবো। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয়, তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রফতানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোমালিয়ান জলদস্যু কর্তৃক অপহরণকৃত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে আর্মড-গার্ড ছিল না জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওই পথে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজে নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছে। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে। আমিরাতের একটি বন্দরে যাবে জাহাজটি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে ১৮০ জন বিজেপি সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তারা বিজিবির অধীনে রয়েছে। আজ আবার নতুন করে ৯ জন এসেছে। তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি। তাদের নদী পথে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাদের বিমানে করে নেওয়ার জন্য। প্রথমে বিমানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুটা রাজি হলেও পরবর্তীতে তারা নৌপথে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)