Corn Production in Kurigram 170424

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ভুট্টার আবাদ বেড়েছে

জেলা প্রতিনিধি: ফিড কোম্পানি ছাড়াও ভুট্টার বহুমুখী ব্যবহারের কারণে বাজারে চাহিদাও রয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে প্রায় দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ফসলটির আবাদ বেড়েছে। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে জমির পরিমাণ প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। যার বেশির ভাগ চরাঞ্চলে। চার বছর আগেও জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা আবাদ ভালো হওয়ায় লাভও প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে।

নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর চরের এক কৃষক বলেন, ‘গত বছর প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি করেছি ৮০০-৯০০ টাকা। এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়। এতে খরচ হয় ১৯-২০ হাজার টাকা। এজন্য সবাই ভুট্টা চাষ শুরু করেছি।’

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলার চর সারডোবের এক কৃষক জানান, আগে চরে গম, সরিষা, কাউন, চিনার চাষ হতো। কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে ভুট্টা চাষ শুরু হয়েছে। প্রথমে ব্র্যাক বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করলেও এখন নিজেরাই ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করছেন। এতে খরচের চেয়ে লাভ হচ্ছে অনেক বেশি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে আবাদি জমি রয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর। বিভিন্ন ফসল চাষ হচ্ছে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে নয়টি উপজেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে শুধু ভুট্টা আবাদ হয়েছে। যার বেশির ভাগ চরাঞ্চলে। কৃষকদের ভাগ্য ফেরাতে সরকারি প্রণোদনায় এ ফসলের আবাদ বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে কৃষি বিভাগের। চার বছর আগেও জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হতো। 

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)