নজরুল

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী শনিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্য ও মানবতার দূত বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী ১১ জ্যৈষ্ঠ। কাজী নজরুল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কালজয়ী লেখায় ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।

তার জন্মজয়ন্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া দেশজুড়ে থাকছে নানা আয়োজন। 

বাংলা সাহিত্যে নজরুলই প্রথম কবি যিনি অসাম্প্রদায়িক চিন্তাকে সুস্পষ্ট, উদার ও ব্যাপকভাবে উপস্থাপন করেছেন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শক্ত ভিত্তিভূমি তৈরির মাধ্যমে তিনি সম্প্রীতির বন্ধন প্রতিষ্ঠায় ব্রতচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কুসংস্কার আর অন্যায়ের সব আবরণ বিদীর্ণ করে নজরুল তৈরি করেছেন নতুন প্রেক্ষাপট, নতুন উপস্থাপন কৌশল ও ভিন্নতর ভঙ্গি। তিনি বিশ্বাস করতেন কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের, বিশেষ শ্রেণীর কিংবা কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে তার পরিচয় নয়। তিনি সব মানুষের, সব সমাজের, সব কালের। তার চেতনা ও মানবতাবোধ বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সঠিক পথ দেখাবে। 

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি সময়, সমাজ ও মানুষকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, গেয়েছেন মানবতার জয়গান। কবির ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং লেখনী শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে আমাদের সোচ্চার হতে ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিক্ষা দেয়। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাকে প্রশমিত ও মানবতাবোধ উজ্জীবিত করতে তিনি লিখেছিলেন প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী শাত-ইল-আরব, খেয়া পারের তরণী, কোরবানী, মহররমসহ অসংখ্য কবিতা। কবিতাগুলোয় তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সমানভাবে ধারণ করেছেন।’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কবির প্রতি একান্ত অনুরক্ত। স্বাধীনতা-পরবর্তী পর্যায়ে তারই ঐকান্তিক আগ্রহে কবিকে কলকাতা হতে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়। কবি নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।’ 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//

 

 


Comment As:

Comment (0)