Bangladesh Bank BSEC1

নতুন মুদ্রানীতিতে গুরুত্ব পেলো শেয়ারবাজারের যেসব বিষয়াদি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে শেয়ারবাজারের তিন ইস্যুকে বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। সেগুলো হলো-সুশাসনের নীতি শক্তিশালী করা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা এবং শেয়ারবাজার পুনরুজ্জীবিত করা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ারবাজার একটি অস্থির সময়কাল অতিক্রম করেছে। এ সময়ে শেয়ারবাজারের লক্ষণ ছিল ধারাবাহিক নিম্নমুখী প্রবণতা, যা মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থার তীব্র পতনের কারণে ঘটেছিল।

ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল, যার ফলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে, বিএসইসি-তে নবনিযুক্ত নেতৃত্ব বাজারের অসদাচরণের সাথে জড়িত ব্যক্তি এবং সত্তার উপর যথেষ্ট জরিমানা বাস্তবায়ন করে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এছাড়াও, বাজার অস্থিতিশীলতার মূল কারণ উদঘাটন এবং অনিয়ম-প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করার জন্য বিএসইসি বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগুলির পাশাপাশি বিএসইসি একটি বিশেষায়িত টাস্কফোর্স গঠন করেছে যার একটি স্পষ্ট লক্ষ্য হল: শেয়ারবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা এবং সুশাসনের নীতিগুলিকে শক্তিশালী করা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, এ ব্যাপক পদ্ধতির লক্ষ্য বর্তমান বাজার পরিবেশকে স্থিতিশীল করা এবং একটি শক্তিশালী ও স্থিতিস্থাপক আর্থিক বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা, যা পরিণামে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থা জাগিয়ে তুলবে।

নতুন মুদ্রানীতি শেয়ারবাজার উন্নয়নে সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি এবং ট্রেজারি ইল্ড হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে নীতিগত হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দিতে পারে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)