দুবাইয়ে সম্পত্তি ক্রয়ে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে; শীর্ষে ভারতীয় ও ব্রিটিশরা
ডেস্ক রিপোর্ট: দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিদেশী ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে। দুবাইভিত্তিক আন্তর্জাতিক রিয়েল এস্টেট ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বেটারহোমস সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৫ সালে শহরটির আবাসন খাতে বিদেশী ক্রেতাদের বিনিয়োগের আগ্রহ আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ বছর দুবাইয়ের আবাসন খাতে শীর্ষ বিদেশী ক্রেতা হলেন ভারতীয়, ব্রিটিশ ও ইতালীয় নাগরিক। শীর্ষ পাঁচে আরো রয়েছে রুশ ও পাকিস্তানিরা।
বেটারহোমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ইতালীয় বিনিয়োগ গত বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। তবে আবাসন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মিশর। দেশটির বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের পর গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৫০ শতাংশ।
মিশরে সাম্প্রতিক আর্থিক উদ্বেগের ফলে দেশটির বিনিয়োগকারীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্ভাবনাময় খাতটিতে বিনিয়োগ করছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বেটারহোমসের সেলস বিভাগের পরিচালক ক্রিস্টোফার সিনা বলেন, ‘এ বছর আমরা ক্রেতাদের পরিসংখ্যানে একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করছি।
এবার দেখা যাচ্ছে, মিসরীয় ও ইতালীয় বিনিয়োগকারীদের দুবাইয়ে সম্পত্তি ক্রয়ের হার আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। আমাদের মিসরীয় ক্লায়েন্টরা নিজেদের দেশের আর্থিক উদ্বেগের মধ্যে স্থিতিশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে চান। আর ইতালীয়রা কর সুবিধা ও বিলাসবহুল জীবনযাত্রার প্রতি আকৃষ্ট। ফলে তারা বেছে নিচ্ছেন দুবাইয়ের আবাসন খাত। কারণ এটা তো শুধু সম্পত্তি কেনার বিষয় নয়, বরং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বাজারে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষারও বিষয়।’
দুবাইয়ে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে মিশরিয়দের আগ্রহের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি কারণ শনাক্ত করেছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, অনেক বিনিয়োগকারী মিসরীয় পাউন্ডের অবমূল্যায়নের আশঙ্কায় দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট বাজারে বিনিয়োগ করছেন। এছাড়া ইউএইতে বাড়ি ভাড়াও প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী। ফলে দ্রুত মূলধন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে। উল্লিখিত দেশগুলোর নাগরিকরা ছাড়াও লেবানিজ ও ইরানি বিনিয়োগকারীদের কাছেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দুবাইয়ের আবাসন খাতে।
ক্রিস্টোফার সিনা আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি, সামনে আমাদের আবাসন খাতের চাহিদা আরো বাড়বে। ক্রেতারা ধীরে ধীরে দুবাইয়ে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাগুলো বুঝতে পারবেন। আমার বিশ্বাস, অল্পদিনের মধ্যেই দুবাই আবাসন খাতের বিশ্বব্যাপী পাওয়ার হাউজে পরিণত হবে।’
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//