যুদ্ধবিরতি কার্যকর
নিজ এলাকায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল
ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ দুই বছরের নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পর অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে থাকা সেনাদের সরিয়ে নির্ধারিত সীমানায় নিচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, গাজার দক্ষিণে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তরের দিকে যাওয়ার অনুমতিও দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণার পরই নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে। তবে তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনারা প্রস্তুত থাকবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে আইডিএফ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজা ভূখন্ড থেকে তিন ধাপে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তবে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও গাজার ৫০ শতাংশের বেশি এলাকা ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দেবে উভয়পক্ষ। বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আগামী সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে জীবিত থাকা ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যুদ্ধবিরতি কার্যকর ঘোষণার সময় থেকেই এ ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আবিচায় আদ্রায়ে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রধান সড়ক ধরে উত্তরের দিকে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে। তবে গাজার কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি সেনার সক্রিয় থাকবে। বাসিন্দাদের সেদিকে যেতে দেয়া হবে না। কারণ এলাকাগুলো ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’।
গাজার বাসিন্দারা স্থানীয় সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব দিকে সরে গিয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে, আইডিএফ গাজা উপত্যকার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।
বিবা/এসএএম//