undefined

বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিনিয়োগ দেশ

ড: মিহির কুমার রায়: বিগত ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২১, রবিবার নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ  ২০২১-এ অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ঢাকা সেনানিবাসের নৌ ও বিমান বাহিনীর সদর দফতরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সভায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে গেছেন, তারই আলোকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার নৌ ও বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের ‘অপারেশনাল সক্ষমতা’ বৃদ্ধির বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে।

‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্বিত’ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ চলবে এবং বাংলাদেশ হবে ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। তিনি উপস্থিত নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে, আমি শুধু শাসক নই, বাংলাদেশের মানুষের সেবক। জনগণের সেবা ও কল্যাণ করাটাকেই আমি সব থেকে বড় কাজ বলে মনে করি। সেই ব্রত নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি এবং দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা সব সময় কামনা করি। রাষ্ট্র পরিচালনায় যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে থাকবে, যেভাবে আপনারা মানুষের সেবা করছেন সেভাবে সেবা করে যাবেন।

‘আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সব সময় মনে রাখতে হবে আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠী কিন্তু ভৌগোলিক সীমার দিক থেকে জায়গা অল্প। কাজেই, সব মানুষের মৌলিক চাহিদা আগে আমাকে পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তিতে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন আমরা চলতে পারি সেই প্রস্তুতিও আমাদের থাকতে হবে। দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংক্ষিপ্ত শাসনকালে অর্থনীতির প্রতি খাতের জন্যই সুস্পষ্ট এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন তিনি। মজবুত সেই ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেলের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে আজকের বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ- শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন মূল্যায়ন করেছেন রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেছেন, অসময়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড না হলে এতদিনে উন্নত দেশের কাতারে যেতো বাংলাদেশ।

তারা বলেন, স্বাধীনার পর আমদানি রপ্তানিতে বার্টার ট্রেড ব্যব্যস্থা ছিল। এক দেশের সরকারের সঙ্গে আরেক দেশের সরকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বাণিজ্য। বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মত এতে ব্যাক্তি খাতকে সংযুক্ত করেন। তবে তার শর্ত ছিল রপ্তানির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য পণ্য থাকতে হবে। চা, মধু, বৈদ্যুতিক কেবলের মত পণ্য অর্ন্তভুক্ত করার শর্ত দেন বঙ্গবন্ধু। মূলত এভাবেই বেসরকারি খাত বৈচিত্র্যপূর্ণ রপ্তানির বাজারে প্রবেশ করে। অর্থনীতির পথনকশা বঙ্গবন্ধুই ঠিক করে গেছেন। সেই পথ নকশা বাস্তবায়ন করছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরো আগেই বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে আসতে পারতো। উন্নত দেশের কাতারে থাকতো। সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি গঠন করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন।

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য- এই পাঁচ মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার আগেই তিনি বলেছিলেন, জাল যার জলা তার। তার স্বপ্ন ছিল, ছাত্ররা শিক্ষা পাবে। যোগ্য হয়ে চাকরি পাবে। সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় নি। এখনও শিল্প পরিচালনায় দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনে বছরে ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। অথচ দেশে শিক্ষিতরা বেকার বসে আছেন।   সরকারি-বেসরকারি সব পক্ষ থেকেই বিদেশি বিনিয়োগ চাওয়া হচ্ছে। তবে দেশি উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার বিষয়টিও ভাবতে হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ব এখনও রয়ে গেছে। তিতাসের সংযোগ পেতে অনেক জায়গায় যেতে হয়। সরবরাহ বাড়লেও মানসম্পন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়নি। বিনিয়োগ আকর্ষণে এসব সমস্যার সমাধান চান উদ্যোক্তারা।

করোনাভাইরাসে বিশ্ব অর্থনীতির কঠিন সময়ের কথা উল্লেখ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি এর মাঝেই পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সরকারের সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ, এলএনজি আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিল্পোন্নয়ন, সারাদেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের জনগণের প্রতি পুনরায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছিল এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারছি বলেই আমরা এসব উন্নয়ন করতে পেরেছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা, সেটা যেন কখনও ব্যর্থ না হয়ে যায়। এই অর্জনের সুফলটা যেন বাংলাদেশের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেতে পারে এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাঁর সরকার দেশের উন্নয়নের কাজগুলো করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময়ে কথাগুলো বলেছেন যখন চলছে মুজিব বর্ষ তথা স্বাধীনতার  সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ বছর পালনের আনুষ্ঠানাদি। বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মাত্র  ৩বছর ৬ মাস যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো ছিল সংবিধান প্রণয়ন চার মূলনীতির ভিত্তিতে যেমন - সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ, সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮) প্রণয়ন অন্যতম। আওয়ামী লীগ বিগত ৫০ বছরের পথ পরিক্রমায় মাত্র একুশ বছরের কিছু বেশি  সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেও ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আসিন মাত্র এক যুগ ধরে এবং স্বাধীনতার এত বছর পর আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মিলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে যা বিস্ময়কর। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশের মাঝে দ্বিতীয়, বিশ্বে ৪১তম এবং অর্থনীতির গতি যদি ধরে রাখতে পারে তাহলে ২০৩৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। শূন্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়নের কৌশল পরিবর্তন ও বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজকের এ অবস্থানে এসে পৌঁছেছে যেখানে মাথাপিছু আয় বর্তমানে তা বেড়ে ২২৭৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে যা  হঠাৎ করেই অর্জিত হয়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই নড়বড়ে অবস্থা থেকে এ দেশকে গড়ে তুলতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি যে মুক্তির সংগ্রামের কথা বলেছিলেন; সেই মুক্তি শুধু শত্রুর কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা নয়। সে মুক্তি ছিল, এ দেশের মানুষের দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্তি, অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে মুক্তি; সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রায়ে আদালত বলেছেন, সরকার গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ওই ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ বাস্তবায়ন করবে। অপরদিকে আগের আদেশ অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রতিটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো দেশের যুবক যুবতীগন যারা মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্মগ্রহন করেছে তারা বিশেষ ভাবে অনুপ্রানিত হবে বলে প্রতীয়মান হয়। এই প্রত্যেকটি পদক্ষেপই  মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াশ মাত্র, যার জন্য আমাদেরকে আরও পথ চলতে হবে, যা অনেকটা বন্ধুর পথ, সহজ পথ নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে - আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে যথা: সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। ১৯৭৫ সালের ১৯ জুন বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে দলীয় চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এই ঐক্যচেতনা এসেছে গভীর উপলব্ধি থেকে। তার মতে, রক্তের বিনিময়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু সাড়ে সাত কোটি মানুষ ও ৫৪ হাজার স্কয়ার মাইল ভূখণ্ড ছাড়া আমাদের আর কোনো সম্পদ নেই। তার মতে, ‘আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের স্বজন হারানোর অর্থ হলো, আমাদের অর্থনীতির মালিক আমরা এবং আমাদের দেশ সেই সম্পদ ভোগ করব। উৎপাদন, বিলিবণ্টন, শাসন-প্রশাসন, আইন, বিচারসহ মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারপ্রাপ্তিতে ন্যায্যতা না থাকলে সামাজিক ন্যায় বিচার কথার কথাই থেকে যায়।

সাম্প্রদায়িক হামলার কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে -  এক: সাম্প্রদায়িক হামলা নিছক  কোনো ঘটনা নয়, এর পেছনে একটি উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে বিতর্কিত করাই মূখ্য উদ্দেশ্য, যা ধর্মীয় অনুভূতি উপরিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা মাত্র, রাষ্ট্র নিশ্চুপ থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্রমাগত চাপ প্রয়োগে উৎসাহিত করা হয়, যা একটি রাজনীতির খেলা মাত্র। সামাজিক গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সক্ষম   নির্মাণে নুতন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে যা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ হওয়া উচিত। সম্প্রতি আমরা শোকের মাস আগষ্ঠ পেরিয়ে এসেছি ও আমাদের সেই ১৫ ই আগষ্ঠের কালরাত্রির কথা   স্মরন করি যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের  চেতনাকে নষ্ট করার প্রয়াশ মাত্র এবং শেখ হাসিনা: এ ডটার্সাস টেল স্বল্প দীর্ঘ চলচ্চিত্রে পান্নালাল দাসের কন্ঠে গাওয়া শ্যামা সঙ্গীত “মা আমার সাধ না মিটিলো আশা না ফোড়ালো সকলি ফুরিয়ে যায় মা, জনমের সুর ডাকিগো মা তোরে কোলে তোলে নিতে আয় মা” গানটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরি শেখ হাসিনা বলেছিলেন বাঙ্গালীরা আমার বাবাকে হত্যা করতে পাড়ে তা আমি কল্পণাও করতে পাড়ি নাই। তাই তার পরও আমাদের অনেক অর্জনের ঘাটতি রয়েছে যেমন দুর্নিতী/কালো টাকার থাবা, গনতন্ত্রের/সুশাসনের স্বল্পতা,  সাম্প্রদায়িক শক্তির উদ্ভব সময় সময় মাথাচারা দিয়ে উঠা ইত্যাদি যা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সমাজের ইমেজ নষ্ট করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জ্যাতিক পর্যায়ে যথেষ্ঠ। অনেকেই বলে থাকেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয় আদর্শিক বিবেচনায় যা নিয়ে সুধি জনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক রয়েছে এবং থাকবেও। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ ও যুব সমাজকে প্রযোজনবোধে আরও একটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে। মহামান্য জাতীর পিতাকে নিয়ে এ দেশে বিতর্কের কোন প্রকার অবকাশ নেই এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে লালন পালন করেই এদেশে রাজনীতি করতে হবে সেটাই হউক মুজিব বর্ষের সকলের অঙ্গীকার।

লেখক: গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)