undefined

ওটিসি’র ২০ কোম্পানিকে এটিবি’তে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তাঃ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) আওতাভুক্ত ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে নবগঠিত অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ২০টি কোম্পানি।

কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, রোজ হ্যাভেন বলপেন, কাশেম টেক্সটাইলস মিলস, জাগো করপোরেশন, বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্যান্ডি ডাইং, ডায়নামিক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেটালেক্স করপোরেশন, মিতা টেক্সটাইলস, মডার্ন সিমেন্ট, মোনা ফুড প্রোডাক্টস, পারফিউমস কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রেট্রো সিনথেটিক্স প্রোডাক্টস, ফর্মাকো ইন্টারন্যাশনাল, কাশেম সিল্ক মিলস, রাসপিট ইনস বিডি, সালেহ কার্পেট মিলস, শেরপুর টেক্সটাইল মিলস  ও থেরাপিউটিক্স বাংলাদেশ।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, পুঁজিবাজারের ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট শিগগিরই বাতিল করা হচ্ছে। আর ওটিসি মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত যেসব কোম্পানিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং বেশি রয়েছে, সেগুলোকেই অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করা হবে। এ জন্য ২০টি কোম্পানির খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মূলত ওটিসির কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা যাচাই করেই এটিবিতে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

আরও জানা গেছে, ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে নেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করা হবে। এই বোর্ডে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিক্রেতা ও ক্রেতার উভয়ের আদেশ দেখা যাবে। ওটিসি মার্কেটে শুধু শেয়ার বিক্রেতার আদেশ দেখা যায়। সেখানে শেয়ার কেনার আদেশ থাকে না।

এছাড়া শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিগুলোকেও এটিবিতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ওই কোম্পানিগুলো কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে এটিবিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এর ফলে কোম্পানিগুলোর ১০ টাকার শেয়ার হস্তান্তরে স্ট্যাম্প ডিউটি ট্যাক্স দিতে হবে মাত্র ১০ পয়সা। আর এটিবির বাইরে ১০ টাকার শেয়ার হস্তান্তরে স্ট্যাম্প ডিউটি ট্যাক্স দিতে হয় আড়াই টাকা। ফলে এটিবিতে অন্তর্ভুক্ত হলে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্ট্যাম্প ডিউটি ট্যাক্স কম দিতে হবে। এতে ওই কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারের মূল মার্কেটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আরো সহজ হয়ে যাবে।

একইসঙ্গে ওপেন অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ইউনিট বিক্রির জন্য এটিবিতে একটি প্ল্যাটফর্ম রাখা হবে। এটিবিতে ফান্ডগুলোর তাদের ইউনিট স্যারেন্ডার করে সেটেলমেন্ট করতে পারবে। ফলে ওপেন অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ইউনিট বিক্রিতে সময়ক্ষেপণ কমবে। আর নন-লিস্টেট বন্ডও এটিবিতে লেনদেন করার সুযোগ থাকবে। এতে বন্ডগুলো কেনাবেচার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে।

এসব দিক বিবেচনায় আগের ওটিসি মার্কেটকে আরো সক্ষম ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে কমিশন। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে এটিবি বড় মার্কেট হবে বলে আশা করছে বিএসইসি।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বিনিয়োগবার্তা বলেন, ওটিসি মার্কেটকে আরো যুগোপযোগি করতে কাজ করছে কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় ওটিসিতে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম,  অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে কোম্পানিগুলোকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর একই প্রক্রিয়ায় এক্সিট প্ল্যানের আওতায় কিছু কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৬১টি ও সিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৪৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। ওইসব কোম্পানির মধ্যে প্রাথমিকভাবে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে ২১টি, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে ২০টিকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এছাড়া এক্সিট প্ল্যান বা তালিকাচ্যুত আওতায় রয়েছে ২০টি কোম্পানি।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম


Comment As:

Comment (0)