undefined

এসউিজি বাস্তবায়নে কৃষি উদ্যোক্তা আবশ্যক

ডঃ মিহির কুমার রায়: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি বড়াবড়ি একটি অগ্রাধিকার খাত হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় কৃষি এক বিষ্ময়কর সাফল্য নিয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত হয়েছে, বিশেষত: কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারে। বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে ধানের উৎপাদন গত আট বছরে বেড়েছে ষাট লক্ষ মেট্রিক টন, যার কৃতিত্ব সবটুকুই কৃষকদের এবং এই জটিল কাজটি সম্ভব হয়েছে কৃষকের ঐকান্তিক পরিশ্রম, সরকারের কৃষি বান্ধব নীতি, সময়মত প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ, কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, দশ টাকা মূল্যে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা, সোয়া দু’কোটি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ ইত্যাদির মাধ্যমে। বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণকারী দেশই নয়, খাদ্য বিশেষত: চাল রপ্তানীকারি দেশ হিসাবে বিশ্বের কাছে আবির্ভূত হয়েছে। দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম এর আওতায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের ভৌগলিক অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং তদীয় জাতগুলোকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌছানোর এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে চলছে, যা আমাদের কৃষি উন্নয়নের একটি আলোচিত দিক। কিন্তু কৃষি যেহেতু দেশের একটি বৃহৎ শিল্প সে হিসাবে উৎপাদনকারী কৃষক ও বিপণনে উদ্যোক্তা কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাজার ব্যবস্থায় কৃষকের প্রবেশাধিকার যেমন সীমিত একিভাবে কৃষি ব্যবসায় সফল উদ্যোক্তাও সীমিত অর্থাৎ কৃষিকে ব্যবসায়ী পেশা হিসাবে নেয়ার মত উদ্যোক্তা তেমন খুজে পাওয়া খুবি দুষ্কর। যার ফলে সনাতনী কায়দায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করণে যে বাজার সংঘটিত হয়ে আছে গ্রামে গঞ্জে তাতে কোনভাবেই কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হয়ে উঠছে না। ফলে প্রকৃত উৎপাদনকারী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বার বার এবং এই জায়গাটিতে অবদান রাখার জন্য তেমন কোন সমাজ ভিত্তিক সংগঠন যেমন সমবায় কিংবা কোন বিপণন সংস্থাকে আর দেখা যায় না অথচ এই জায়গাটিকে যদি সুসংগঠিত করা যায় উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে তা হলে দেশ নিজস্ব গন্ডী পেড়িয়ে বহির্বিশ্বে প্রবেশেরও একটি সুযোগ পাবে, যা আমাদের জাতীয় আয় বর্ধনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার কোন শেষ না থাকলেও কার্য্যকরি কোন পদক্ষেপের আলামত তেমন পাওয়া যায় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দেশের বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যবসায় প্রশাসন একটি অগ্রাধিকার ভোক্তা বিষয় এবং এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে অগনিত দক্ষ জনশক্তি শ্রম বাজারে প্রবেশ করছে এবং তাদের মধ্যে স্ব -নিয়োজিত উদ্যোক্তা কতজন তার কোন হিসাব কোন দপ্তরেই খুজে পাওয়া যায় না। তবে এটা সত্যি যে, বেশীরভাগ ব্যবসা প্রশাসনের স্নাতক মজুরীভিত্তিক শ্রম বাজারে অর্থাৎ চাকুরীতে আগ্রহী যদিও এই সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে আসছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে এই সকল ব্যবসা প্রশাসক কেথায় যাচ্ছে বা কিভাবে কি করছে? বিষয়টি অস্পষ্ট এবং এই জায়গাটিতে গ্রামীন উদ্যোক্তা উন্নয়নের একটি বিরাট সুযোগ রয়েছে, যা আবিস্কারের অপেক্ষায় আছে এখনও। কৃষি ব্যবসা নীতিমালা খুবি বিরল এবং যদি এক বা একাধিক উদ্যোক্তা এই কাজটিতে এগিয়ে আসে তা হলে অনায়াসেই দেশ এগিয়ে যাবে ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে তাদের যে অবদান তা দৃশ্যত হবে বাস্তব ক্ষেত্রে। তাহলে এক্ষেত্রে সরকারী নীতিসহ আর্থিক সহায়তা লাগবে যা বর্তমান ব্যবস্থায় প্রচলিত আছে সত্যি কিন্তু উদ্যোক্তা কোথায়? তা বাস্তব ক্ষেত্রে একটি সাময়িক বিষয় কিন্তু এ ক্ষেত্রে আগ্রহের জায়গাটি তৈরী করতে পদক্ষেপ নিতে অসুবিধে কোথায় কারণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহদাকার উদ্যোক্তাদের একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে বিশেষত: কৃষি ক্ষেত্রে যেমন শস্য, মৎস্য, দুগ্ধ উৎপাদনে ও পোল্ট্রিতে। কারণ এগুলো দেশের খাদ্য নিরাপত্তার সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িত এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এ পণ্যগুলোর চাহিদা ক্রমাগতই বেড়ে চলছে কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে উৎপাদনে উদ্যোগের অভাবে উৎপাদন ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে, যার ফলে খাদ্য মুল্য স্ফীতি এখন নিত্যদিনের সাথী হিসাবে আমাদের বসবাস। কাজেই যেহেতু বাজার সমৃদ্ধ তাই নূতন নূতন প্রযুক্তির সমন্বয়ে সমন্বিত কৃষি খামার প্রতিষ্ঠার অপূর্ব সুযোগ রয়ে গেছে।

আবার যারা গ্রাম পর্যায়ে উদ্যোগী কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণে সমন্বীত উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। এখন প্রথমটিতে যদি যাওয়া যায় তবে উদ্যোক্তাকে আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানের স্নাতক বা কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হবে। কারণ উদ্যোক্তা যদি কেবল মালিক হয়ে বসে থাকে ও সার্বিক প্রক্রিয়ায় জ্ঞান সম্মত ভাবে যুক্ত না হয় তবে এ ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার সুযোগ কম। তাহলে কৃষি উদ্যোক্তাকে সময় সময় কৃষক কিংবা গোয়ালা কিংবা মুরগী উৎপাদক কিংবা মৎস খামারী সাজতে হবে। আধুনিক বিশ্বে এখন অনেক নূতন পদ্ধতি চালু আছে শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেমন গ্রীন হাউজ, যা বাংলাদেশে কিছু সরকারী গবেষণা খামার ছাড়া অন্য কোথায়ও ব্যক্তিগত খামার পর্যায়ে দেখা যায় না। এর একটি বড় কারণ হলো বিনিয়োগের অনগ্রসরতা বা স্বল্পতার সাথে যোগ হয় উদ্যোক্তার অনাগ্রহ। অথচ আমাদের পাশ্ববর্তি দেশ চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই ধরনের গ্রীন হাউজের মাধ্যমে তাপকে নিয়ন্ত্রণ করে সারা বছর সব্জী সহ অন্যান্য কৃষি সামগ্রী উৎপাদন করে দেশীয় চাহিদা যেমন পূরণ করছে অপরদিকে রপ্তানী বাণিজ্যে অংশ গ্রহণ করে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বাংলাদেশে এমন একটা উদাহরণ পাওয়া যায় না যে কোন এক বা একাধিক উদ্যোক্তা এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে সফলকাম হয়েছে অথচ এর একটি গুরুত্ব রয়েছে বিশেষত: খাদ্যের চাহিদা বিবেচনায় রেখে।

এখন প্রশ্ন হলো কেন আমাদের দেশে এর পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি, কেন বা আমরা কি আধুনিক প্রযুক্তির যোগে মনমানসিকতায় এখনও পশ্চাৎপদ রয়ে গেছি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজলে পাওয়া যায় আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেখানে এখনও আমরা সনাতন নীতিগুলো থেকে নিজেদেরকে বাহির করে আনতে পারি নাই। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় যে, প্রতিষ্ঠানিক পড়াশুনা শেষ করে একজন ছাত্রের অভিভাবক চায় তার ছেলে চাকুরিজীবি হবে উদ্যোক্তা নয়। আবার উদ্যোক্তা হতে গেলে সে সকল গুণাবলীর প্রয়োজন হয় সেগুলো অনেকে ধারণ করে না। আবার ধারণ করার বাসনা থাকলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সেগুলো বাস্তবে রূপ নেয় না। তাহলে বলা যায় সরকারি পর্যায়ে বাজার অর্থনীতির নীতিমালাগুলো অনুসারিত হলেও ব্যক্তি পর্যায়ে সেগুলোর অনুশীলন তেমন দেখা যায় না। যদি তাই হতো তা হলে উদ্যোক্তা সাজতে এত পিছটান কেন? এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যবসা উন্নয়নের পরিবেশ, সমাজ কাঠামো, বিনিয়োগের জটিলতা ও বাজার ব্যবস্থা। এই বিষয়গুলোকে যদি একজন উদ্যোক্তা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেয় তা হলে অসুবিধা কোথায় -বস্তুত কোন অসুবিধে নেই। কারণ আত্মশক্তিতে বলীয়ান একজনের কাছে অসম্ভব বলতে কিছুই নেই। অপরদিকে আধুনিক কৃষি ব্যবসায় উদ্যোক্তা শিল্প উদ্যোক্তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে বলে প্রতীয়মান হয় অথচ এই জায়গাটিতে বিশেষ একটি সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। কিন্তু সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছার যে স্বপ্ন তা সরকারী কিংবা বেসরকারী পর্যায়ে পরিলক্ষিত হয় না। প্রতি বছর চিরাচরিত নিয়মে বাজেট আসে বাজেট যায়, ব্যবসায়ী নেতারা ব্যবসা বান্ধব বাজেটের জন্য অনেক আলোচনায় মিলিত হয়ে সরকারের কাছে দাবি জানায় কিন্তু কৃষি ব্যবসায় যে বিশাল সম্ভাবনা দেশে বিরাজমান তা নিয়ে উদ্যোগের যে প্রয়োজন সে বিষয়টি গুরুত্ব পায় না। যেমন সরকার গত বছর উন্নয়ন খাতে অনেক মেগা প্রকল্পে অর্থায়নের উদ্যোগ নিলেও কৃষি খাতে সে ধরনের কোন প্রকল্প যেমন গ্রীণ হাউজ ভিত্তিক কার্য্যক্রম, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, মৎস্য প্রজনন ল্যাবরেটরি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত পোল্ট্রি খামার, গবাদি পশুর জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদির জন্য কোন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি কিংবা কোন উদ্যোক্তা আগ্রহ সহকারে এগিয়েও আসেনি। এমতাবস্থায় যে সুযোগটি আমাদের হাতে রয়েছে তা হলো দেশের অগণিত একশতেরও বেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সকল স্নাতক ব্যবসায় প্রশাসনে ডিগ্রি নিয়ে স্ব-নিয়োজিত কর্ম সংস্থানের আওতায় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তাদেরকে একাজে নিয়ে আসতে বিজ্ঞান ভিত্তিক উচ্চতর কারিগরী নির্ভর প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

এখানে উল্লেখ্য,দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এগ্রি বিজনেস বিভাগ এ ব্যাপারে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এ উদ্যোগের আওতায় যে কাজগুলো অগ্রাধিকার পাবে তার মধ্যে রয়েছে এক: প্রশিক্ষণে তাত্বীক ও ব্যবহারিক দু’টি দিক থাকবে এবং বিষয়গুলো ট্রেডিং না হয়ে হবে উৎপাদন নির্ভর। যেমন উদাহরন স্বরূপ বলা যায় গ্রিণ হাউজ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন কার্য্যক্রম যার সাথে কারিগরি ও প্রাকৃতিক দিকগুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। এই উপায়ে বছর জুড়ে শব্জী ও ফলফলাদি উৎপাদন করা যাবে, যা হবে মান সম্মত ও রপ্তানী যোগ্য অর্থাৎ রপ্তানী বাজারকে সামনে রেখে উৎপাদন কৌশল অবলম্বন করতে হবে, যার সাথে যোগ হবে রপ্তানী বাণিজ্যের কৌশল। এখানে উল্লেখ্য যে, কেবল শব্জী বা শস্যই নয়, মৎস্য চাষের মাধ্যমে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ বিষয়টিও থাকবে। রপ্তানী বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থাৎ কৃষি উদ্যোক্তাকে সমন্বীত খামার ব্যবস্থায় যেতে হবে বিশেষত: লাভের ব্যাপারটি বিবেচনায় রেখে। উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণে ব্যবহারিক দিকগুলো বিশেষভাবে স্থান পাবে বিশেষত: বিভিন্ন গবেষণাগারে সেটা মৎস্য, সব্জি কিংবা ডেইরী/পোল্ট্রি হউক না কেন। অপরদিকে দেশীয় কিংবা রপ্তানী বাজারে পণ্য বিপণন একটি উল্লেখযোগ্য দিক সেগুলোও প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে; দ্বিতীয়তঃ এই সকল উদ্যোগী কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য কৃষি উদ্যোক্তার পক্ষে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে এবং এই অর্থ সহায়তা অবশ্য সরকারি ব্যবস্থা থেকে ঋণ হিসাবে সরবরাহ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সকল উদ্যোগী উদ্যোক্তাদের জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ক্ষুদ্র-মাঝারি-বৃহদাকার পর্যায়ে ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে সেই সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। আবার সরকার তার উন্নয়ণ বাজেটের আওতায় প্রকল্প ভিত্তিক অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে এবং এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ছক পূরণ করতে হবে। এই ছকে প্রকল্প তৈরী করে পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে কিস্তির ভিত্তিতে এই টাকা পাওয়া যাবে; তৃতীয়তঃ এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে পারিবারিক কৃষি ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক কৃষি ব্যবস্থায় রূপান্তর করা যাবে যা সময়ের দাবি।

সর্বশেষে বলা যায়, কর্মসংস্থানে কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই এবং খাদ্য নিরাপত্তার বিবেচনায় দেশের অগণিত ব্যবসায় প্রশাসনে ডিগ্রিধারী কৃষিতে তাদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে নিতে পারে, যা দেশের অগ্রগতিতে একটি ইতবাচক ভূমিকা রাখবে। 

লেখক: কৃষি অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি ও সাবেক সহ সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)