মিহির

ঈদের অর্থনীতি বনাম কোরবানির পশু বাজার ব্যবস্থাপনা

ড: মিহির কুমার রায়: ঈদ-উল-আজহা ও কোরবানির ঈদ সমাগত যা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব এবং এই মাসের ৯/১০ তারিখে কুরবানি ঈদ হতে পারে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা। ইতোমধ্যে পশু ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু ক্রয় করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাখছেন। গ্রাম বাংলার অনেক গেরস্তর আশা নিজেরা পশু নিয়ে হাটে আসবেন। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জমে উঠবে দেশের কুরবানি পশুর হাট। ঢাকায় নগরবাসী পশু কেনার জন্য ১৭টি অস্থায়ী হাট বসাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর বাইরে রয়েছে ঢাকার দুটি স্থায়ী হাট-গাবতলী ও সারুলিয়া। এসব হাট থেকে রাজধানীবাসী পশু কিনতে পারবেন। ডিএনসিসিতে বসছে ৭ হাট:  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)  এলাকার অস্থায়ী কুরবানি পশুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা ১৭ সেক্টর বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ ভবন পর্যন্ত খালি জায়গা,  ভাটারা (সাঈদ নগর) পশুরহাট, কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা,  ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল ও যমুনা হাউজিংয়ের এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন খালি জায়গা;  বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগরের ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ পর্যন্ত,  যেটা সাবেক বাড্ডা ইউনিয়নের খালি জায়গা; মিরপুর সেকশন-৬  -এর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বছিলা ৪০ ফুট খালি জায়গা সংলগ্ন খালি জায়গা। ডিএসসিসিতে বসছে ১০ হাট:  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)  এলাকার অস্থায়ী কুরবানি পশুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের সংলগ্ন খালি জায়গা,  ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা,  পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা,  খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা,  লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা,  ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা,  ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা। 

এই উৎসবের একটি বৃহত্তম পর্ব পশু কোরবানি এবং প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র মতে এ বছর ১ কোটি ২১ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৯ হাজার বেশি। গত বছর দেশে ৯১ লাখ পশু কুরবানি করা হয়েছে। এবার কুরবানি পশুর চাহিদা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। সেটা বাড়লেও কুরবানি পশুর ঘাটতি হবে না। চাহিদার আলোকে পশু সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হয়েছে। কুরবানির পশু মোটা তাজা করার জন্য দেশে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, গ্রোথ হরমোন,  স্টেরয়েড এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। সীমান্ত পথ দিয়ে পাচার হয়ে আসা এসব ওষুধ সরকারি সংস্থার নজরদারির অভাবে স্থানীয় দোকানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয়। দেশের চাহিদা অনুযায়ী যদি পরিকল্পিতভাবে গবাদি পশু উৎপাদন করা যায়,  তাহলে কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করার প্রয়োজন পড়ে না। সব পশুর হাটে যদি প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা গরু চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ঈদ সামনে রেখে অসাধু উপায়ে কেউ গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েড মেশাতে সাহস পাবে না। সেক্ষেত্রে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আইন ও বিধি অনুযায়ী গরু মোটাতাজাকারীদের জেল-জরিমানা করাও জরুরি। 

গত বছর হৃষ্টপুষ্টকরণের আওতায় কোরবানির জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি। এ বছর এ কার্যক্রমের আওতায় মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ,  ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫টি পশুসহ মোট  ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে। তবে এক হিসাবমতে গত বছর ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল কোরবানির হাটবাজারে যার মূল্য ছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা যার মধ্যে ছিল ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৮টি গরু,  ও ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩০টি ছাগল-ভেড়া এবং ১ হাজার ৭৬৩টি উট ও দুম্বা। চলতি বছর হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০টি,  হৃষ্টপুষ্টকৃত ছাগল-ভেড়া ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৮ এবং গৃহপালিত গরু-মহিষের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার ২০০ ও গৃহপালিত ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ২৫২টি। 

ঈদ উপলক্ষে দেশের খামারিরা প্রস্তুত যদিও তাদের খামারে লাখ লাখ গরু-ছাগল বিক্রির অপেক্ষায় কিন্তু বন্যার পরিস্থিতির কারনে হাট বাজারে গিয়ে গরু বিক্রি বিপদজনক বিধায় অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। করোনা থাকলেও এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও আশার আলো দেখাচ্ছে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’। এ ছাড়া ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম (মার্কেট প্লেস),  ই-কমার্স সাইট, ওয়েব সাইট,  ফেসবুকভিত্তিক  সাইটগুলোতেও ইতোমধ্যে কোরবানির পশুর বুকিং ও বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। দেশের ক্রেতাদের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ক্রেতারা কোরবানির পশুর বুকিং দিতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিনে অনলাইনে প্রায় ২০৬ কোটি টাকায় ২৬ হাজার ৩০৮টি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে যা ৭৪১টি অনলাইন বাজারের তথ্যের ভিত্তিতে প্রাণি সম্পদ অধিদফতর এ তথ্য জানায়। প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের এক বা দু’দিন আগে ক্রেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে কোরবানির পশু পৌঁছে দেবে। শুধু কোরবানির পশু বিক্রিই নয়, বুকিং করে দিলে জবাই দিয়ে বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনলাইনে গরু কেনা বেচায়  গ্রাহক যখন গরু পাবেন, তখনই টাকা ছাড় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, গত বছরের মতো এ বছরও গবাদি পশুর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ বছর এ কার্যক্রমের আওতায় মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ,  ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং অন্য চার হাজার ৭৬৫টি পশুসহ মোট এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১৯ হাজার গবাদিপশু অনলাইনে বিক্রির কথা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর অনলাইনে পশু বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর সারাদেশে অনলাইন-অফলাইনে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশু কোরবানি উপলক্ষে বিক্রি হয়। অনলাইনে কেনা কোরবানির পশুতে কোন ত্রুটি পেলে ফোনে বা ই- মেলে ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব)  কাছে অভিযোগ করা যাবে। প্রাণি সম্পদ অধিদফতর অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রির জন্য খামারিদের সংশ্লিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযোগের সহযোগিতা প্রদান করবে এবং আপলোডকৃত গবাদিপশুর ক্ষেত্রে মালিকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর,  গবাদিপশুর বয়স, ওজন,  মূল্য ও গবাদিপশুর ছবি প্রদান করতে হবে। আশা করা যায় ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সরকারের এই মহতি উদ্যোগ দেশের অগনিত খামারির জীবনের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এবং ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত কোরবানির আদর্শ সফলকাম হবে।

এখন আসা যাক গ্রামীন অর্থনীতির আলোচনায় যেখানে এই বন্যা এই সময়ে দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পরিবারগুলো সঞ্চয় ও ধার-দেনার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এবারের বন্যায় সিলেটসহ ১৫ জেলায় ৬ হাজার ৬৬২টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আর্থিক মূল্য ৩৩১ কোটি ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ৫৫৯০টি খামার। ফলে ঈদুল আজহাকে ঘিরে এবার এখনও জমে ওঠেনি পশুর হাট। বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলোতে গবাদিপশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন খামারিরা,  বেড়ে গেছে পশু খাদ্যের দাম ও যার ফলে কোরবানির ঈদে গবাদিপশুর দাম বাড়তে পারে,  কোরবানির সময় যাতে ওই অঞ্চলে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে পশু যেতে পারে,  সে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকার সব সময় খামারিদের পাশে থাকবে। পদ্মা সেতুর সুফলে এখন দক্ষিণাঞ্চল থেকে খুব দ্রত পশুবাহি গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে, কোনো যানজট নেই,  চাঁদাবাজি নেই। পদ্মা সেতুর কারণে এবার ঈদে খামারিরা লাভবান হবেন এবং অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে পদ্মা সেতু। 

এর মধ্যে করোণার সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিধায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোরবানির পশুর হাটে যাওয়া,  পশু কেনা বেশ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে এবার পশুর চাহিদা স্বাভাবিক অবস্থার চাইতে অনেক কম হতে পারে। গ্রামের হাট বাজারে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করা না গেলে দেশের অবনতিশীল পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এদিকে,  দেশীয় খামারিদের কথা চিন্তা করে ভারতীয় গরু আমদানি রোধে আগে থেকেই ভারত সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে, ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আমদানি হলে দেশে করোনার ভয়াবহতা যেমন  বাড়তে পারে, তেমনি লোকসানের মুখে পড়তে পারে দেশের গ্রামীণ প্রান্তিক খামারিরা, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে কঠিন চাপে ফেলবে। প্রতি বছর প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ গরু আমদানি করা হতো ভারত, মিয়ানমার,  নেপাল ও ভুটান থেকে। এর অর্ধেক আমদানি করা হতো কোরবানির ঈদের সময়। অধিকাংশই আসত ভারত থেকে। এখন গরু আমদানি নেই বললেই চলে। গত দু’বছর ধরে গরু আমদানি হয়েছে বছরে এক লাখেরও কম যা দেশের খামারিদের জন্য একটি সু-খবর বলা যায় এবং যে কোন মূল্যে আমদানীনির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় খামারিদের সহায়তা দিতে হবে। তাই দেশের খামারিদের উ্ৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই এবারের কোরবানির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে যা একটি আনন্দের বার্তা উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় খামার বিকশিত করা,  মালিকদের প্রণোদনা প্রদান ও সরকারী নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকায় বর্তমানে পশু সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। 

এদিকে প্রতি বছরের মতো সরকার এবারও ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে যা হলো লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা ও বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গত দু-তিন বছর কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নিয়ে যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা কাম্য নয় কারন চামড়া দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত যা বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সঠিক তদারকির অভাবে এবং অব্যবস্থাপনার কারণে কোরবানি কেন্দ্রিক চামড়া শিল্প সংকটে রয়েছে। দেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ পশুর চামড়া সংগৃহীত হয়, তার অধিকাংশই হয় কোরবানির সময়ে। কোরবানির চামড়ার দাম দেশে কম হলেও দেশে-বিদেশে চামড়াজাত পণ্যের দাম বেশ চড়া। তাই বাজার সমন্বয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। কাঁচা চামড়া পরিবহনে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়,  সে বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। চামড়া কারবারিদের একটি কথা মনে রাখা দরকার, কোরবানির চামড়ার বিক্রীত টাকা দিয়ে সারা বছর দেশের অগণিত এতিম খানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে অবস্থানরত এতিম ও গরিবদের খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। আশা করা ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সরকারের এই মহতি উদ্যোগ দেশের অগনিত খামারির জীবনের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এবং ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত কোরবানির আদর্শ সফলকাম হবে।

লেখক: অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, সিটি ইউনিভার্সিটি, সাভার, ঢাকা ও সিন্ডিকেট সদস্য।


Comment As:

Comment (0)