মিহির

পানিয় তরল দুধে কি আছে

ডঃ মিহির কুমার রায়: আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে যার সাথে দুগ্ধ সামগ্রির চাহিদাসহ উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর (২০১৯) এর তথ্য মতে দেশে প্রতি বছর ৯০ লাখ  ২৪ হাজার টন দুধ উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ টন অর্থ্যাৎ চাহিদার তুলনায় ঘাটতির পরিমান প্রায় ১০ লাখ টনের কিছু বেশি। এর মানে হলো বাংলাদেশ তার মোট প্রয়োজনের মাত্র ৬৩ শতাংশ উৎপাদন করছে এবং বাকি ৩৭ শতাংশ ঘাটতি পূরনের জন্য প্রতি বছর প্রায় এক হাজার পাঁচশত কোটি টাকার  দুধ আমদানি করছে।

বিগ্গজনসহ সমাজ বিশ্লেষকগন মনে করছেন, যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা গুড়ো দুধ আমদানীতে ব্যয়িত হয় তা যদি স্থানীয় দুগ্ধ উন্নয়নে ঋন  কিংবা প্রনোদনা হিসাবে ব্যবহৃত হতো তাহলে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদার ঘাটতি পূরন করা সম্ভব হতো। কিন্তু দেশে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তবায়গুলো হলো জমির  দু্ষ্প্রাপ্যতা, গবাদি পশুর পর্যাপ্ত খাবারের স্বল্পতা ও গরুর উৎপাদন ক্ষমতা। সার্বিক ব্যবস্থাপনা তথা নীতি সহায়তা পেলে বাংলাদেশ যে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসর্ম্পূনতা অর্জন করবে-  এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি জনের প্রতিদিন ২৫০ মিলি লিটার দুধ পান করা প্রয়োজন অথচ সেখানে একজন মানুষের প্রাপ্তি মাত্রা ৪০  মিলি লিটার। সেই হিসাবে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, সারা দেশে প্রতিদিন মাথাপিছু দুধের চাহিদা ১৪.৪৮ মিলিয়ন টন এবং একি সময়ে উৎপাদন হয় ৬.৯৭  মিলিয়ন টন অর্থ্যাৎ প্রতিদিনের ঘাটতি দাড়ায় ৭.৫১ মিলিয়ন টন। এই বিশাল ঘাটতি পুরনের জন্য  এখন আমদানী বানিজ্যই একমাত্র ভরসা অথচ এই সকল পণ্যে যে স্বাস্থ্য  ঝুঁকি রয়েছে তা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন না। অথচ, এই শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশে যে অপার সম্ভবনা রয়েছে তা বাস্তবায়িত করা গেলে দেশ পুষ্টিতে স্বয়ম্ভর হবে।  

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, প্রতিনিয়তই খবর আসছে নামেই তরল দুধ খাচ্ছি ক্যামিক্যাল, যার কারনে শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যানসারসহ মরণ ব্যাধি। ভেজাল দুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরনে এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী জড়িত যাদের দুগ্ধ উৎপাদনের কোন প্রয়োজন হয় না, গবাদী পশুর খামারেরও তৈরীর কোন তাগিদ থাকে না, একটা ব্লেন্ডার মেশিনে হাফ কেজি খাটি দুধ দেয়া হয়, তার সঙ্গে পরিমাণ মত বিষাক্ত কেমিক্যাল জেলির সঙ্গে ডিটারজেন্ট পাউডার, হাফ কেজি সয়াবিন তেল, পরিমাণমত চিনি, স্যালাইন, লবন, গুঁড়া দুধসহ পরিমাণমত বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে ব্লেন্ডিং করে তৈরী করা হয় ভেজাল দুধ, যা খাঁটি  দুধ হিসাবে বাজারে আসছে ভোক্তাদের মাঝে।

চিকিৎসক ও গবেষকরা বলছেন, এই দুধ পান করে জটিল রোগের বিস্তার ঘটছে যেমন কিডনি জটিলতা, লিভার ক্যাণ্সার ইত্যাদি, যা মানুষকে নীরবে হত্যা করছে- যা মেনে নেয়া যায় না! বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকা দুগ্ধ পল্লী নামে পরিচিত। যেমন -সাতক্ষীরার তালা উ্পজেলার জেয়ালা গ্রাম, যেখানে ভেজাল কারবারিদের কারনে স্থানীয় দুগ্ধ খামারীরা ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এভাবে খামারীরা টিকে থাকবে কিভাবে? এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তেমন কিছুই করতে পারছে না প্রভাবশালী কোম্পানীদের কারনে এবং আরও মজার ব্যাপার যে, এই সকল ভেজাল কারবারীরা তাদের দুধ বিশেষত; নামি দামী সংন্থা  যেমন মিল্ক ভিটা, আড়ং ও আকিজসহ আরও নামি দামী কোম্পানীর কাছে সরবরাহ করে থাকে বলে জানিয়েছে এদের জন্য গঠিত মোবাইল কোর্ট।

গবেষকগন বলছেন, দেশে  ক্যানসার বৃদ্ধির মূল কারন খাদ্যে ভেজাল -যার মধ্যে দুধ অন্যতম এবং প্রতিদিন তিন হাজার রোগী আসে ক্যানসার ইনষ্টিটিউটে সেবা নেয়ার জন্য ও ভেজাল খাদ্যের কারনে শিশু থেকে সব বয়সীদের পাকস্থলিতে ক্যানসারের সম্ভাবনা দেখা দেয়। এখন জাতিকে রক্ষা করতে হলে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। কেহ কেহ বলছেন, এই সকল ভেজাল দুধের উপকরন সীমান্ত দিয়ে আসে এবং ১ কেজি পাউডার দিয়ে ৩০-৩৫ কেজি ভেজাল দুধ তৈরী করা হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান গনতান্ত্রিক সরকারের লক্ষ্য ভোক্তার কাছে মানসম্মত ও গ্রহনযোগ্য মানের দুদ্ধ উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসর্ম্পনতা অর্জন। এ ব্যাপারে প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর প্রানী সম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দুধকে একটি আদর্শ খাদ্য বলা হয় যেখানে পুষ্টির সকল গুনাবলীগুলো রয়েছে যা বিশেষ করে শিশুদের শারীরিক গঠনে বিশেষ ভুমিকা রাখে। তাই দুধের পবিত্রতা রক্ষা করা সকলেরই দায়িত্ব বিশেষ করে উৎপাদক ( চাষী), ব্যবসায়ী (ঘোষ) ও  প্রক্রিয়াজাতকরন (কোম্পানী) পর্যায়ে যার সাথে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা/ খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত রয়েছে। বর্তমান সময়ে খাদ্যে নিরাপত্তায়  ভেজাল একটি বহুল আলোচিত বিষয় এবং পত্রিকার পাতায় কিংবা টেলিভিশনের টকশোতে একটি জনপ্রিয় ফিচার বলে আলোচিত। বর্তমান সময়ে মানুষ খুবই স্বাস্থ্য সচেতন বিশেষত:  ভোজাল মুক্ত খাদ্য গ্রহনের ব্যাপারে এবং সম্প্রতি সরকার ৫২টি কোম্পানীর পণ্যকে ভেজাল পণ্য হিসাবে নিষিদ্ধ করেছে। আরও মজার ব্যাপার যে রমজান মাস আসলেই এই সকল ভেজাল বিরোধী অভিযানের নিবিড়তা বেড়ে যায় এবং বিভিন্ন কোম্পানীকে ভেজাল খাদ্যের জন্য লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ দুধ সংকট ২০১৯ এই  নামে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন তাদের জারীকৃত প্রত্যায়নের আওতায় দেশের যে চৌদ্দটি কোম্পানীর পাস্তরিত দুধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দৈবচয়নের মাধ্যমে দুধের নমুনা সংগ্রহ করে দেশের চারটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান যেমন- জনস্বাস্থ্য ইনিষ্টিটিউটের জাতিয় খাদ্য নিরাপত্তা গবেষনাগার, বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষনা পরিষদের গবেষনাগার, আরসিডিডিআরবির গবেষনাগার ও বাংলাদেশ পানি সম্পদ ইনিষ্টিটিউটের গবেষনাগার ইত্যাদিতে পাঠিয়ে নির্ধারিত বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে যে, এই সকল কোম্পানীর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটিরিয়া, ফরমালিন, ডিটারজেন্ট, কলিফর্ম, অম্লতা ও স্টেফাইলোকক্কাস - এসব ক্ষতিকর উপদানের উপস্থিতি রয়েছে কিনা? এই কারনে বাজারে প্রচলিত পাস্তরিত প্যাকেটজাত দুধের বিশুদ্ধতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে!!

এই ধরনের একটি পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রজন্ম সবল শরীর নিয়ে বেড়ে উঠবে তা কিভাবে আশা করা যায়? তাহলে কি দুগ্ধ সংকট কাটছে না? দেশে বিদ্যা শিক্ষা ও প্রযুক্তির অনেক প্রসার হয়েছে, জাতীয় প্রবৃদ্ধি তথা আয় বেড়েছে, মানব উন্নয়ন সুচকে উর্দ্ধগমন ঘটেছে কিন্তু ব্যবসায় লাভের আশায় দুধে ভেজাল মেশাতে আমাদের এতটুকু দ্বিধা দন্দ মনে হয় না যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেড়ে উঠার জন্য বিশেষ হুমকি। আমরা চাই নিজ দুধ স্ক্যান্ডাল ২০০৮ এর কথা শুনেছি যেখানে দুজনের মৃত্যুদন্ড ও  তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছিল। তাদের অপরাধ ছিল মেলামাইনযুক্ত প্রোটিন পাউডার উৎপাদন ও বিক্রি যা দুধে মিশ্রিত হয়েছিল। এর প্রধান শিকার শিশু  যাদের কিডনিতে পাথরসহ অন্যান্য প্রদাহ দেখা দিয়েছিল। মেলামাইন এমনিতে নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ খাদ্যে মেশালে তা প্রোটিনের আপাত মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, শরীরের ভেতরে রাসায়নিক অ্যাসিডের সঙ্গে মিশে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করে এবং এক সময় কিডনি বিকল হয়ে যায়। মেলামাইন পানিতে দ্রবনীয় নয়, সে ক্ষেত্রে ফরমান ডিহাইড এবং অন্য  কোন রাসায়নিক দ্রব্যে দ্রবীভূত করে দুধের সংগে মেশানো হয়। দুধ যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য এতে দেয়া হয় ক্ষতিকর হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, দুধের স্নেহ ভাগে বাড়াতে যোগ  করা হয় ভেজিটেভল ওয়েল আর ল্যাকটোজেন বাড়াতে ঘোল। চীনের সানলু কোম্পানী অনেকদিন ধরেই এই কাজটি করছিল যারা দুধ ও দুধজাত দ্রব্য উপদান বিক্রি ও  রফতানীতে ছিল শীর্ষে। এই কোম্পানীর ৪৩ ভাগ শেয়ার মালিকানা ছিল নিউজিল্যান্ডের ডেইরি সমবায় ফন্টেবার হাতে এবং এই কেলেংকারী নিউজল্যান্ডকেও স্পর্শ করে। এর ফলে  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে সানলুর উৎপাদন বন্ধ করে সকল কার্য্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হয়, রাজনৈতিকভাবে তত্ত্বাবধানে ব্যার্থতার কারনে নগরের মেয়রকে পদত্যাগ বাধ্য করা  হয় এবং পার্টির স্থানীয় সম্পাদককে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাছাড়াও সুইল মিল্ক স্ক্যান্ডাল ১৮৫০, (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে), মরিগানা আসে অনিক মিল্ক স্ক্যান্ডাল ১৯৫৫ (জাপান)  এবং বাংলাদেশে দুধ সংকট (২০১৯) আমাদের স্মরন করিয়ে দিচ্ছে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান কি ব্যবস্থা নিয়েছে আর আমরা এ বিষয়টিকে নিযে সঠিক ব্যক্তি কিংবা কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছি তা গত বেশ কিছুদিন যাবত পত্র পত্রিকায় ভেসে বেড়াচ্ছে অথচ যারা গবেষনা করে সমস্যাটি সনাক্ত করেছে তারাই এখন নিরাপত্তাহীণতায় ভোগছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তাই পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য ও শিশুর দুধে ভেজালজনিত বিষয়গুলোর একটি শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন বিশেষত: ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পৌছানোর আগে অর্থ্যাৎ আমরা একটি দারিদ্রমুক্ত, পুষ্টিহীন মুক্ত, ভেজাল মুক্ত ও দুর্নীতি মুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুশাসিত বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমাদের সমস্যা আছে অনেক যা একদিনে সৃষ্টি হয়নি একইভাবে এর সমাধান একদিনেও সম্ভব নয়। এই কাজটি শুরু হয়েছে মন্থর গতিতে যেমন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য  কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বাজারে বিক্রি হচ্ছে এমন সব খাদ্য সামগ্রীর মান নির্ণয়ে কোন কার্য্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি কেবল আশ্বাস ছাড়া। সাড়া পৃথিবীব্যাপী বিশেষত: উন্নত দেশে দুধের মান পরীক্ষার অনেকগুলো প্যারামিটার থাকে যেমন সিংগাপুরে এই সংখ্যাটি ৩৮টি আর বংলাদেশে দুধের মান নির্নয়ের প্যারামিটার মাত্র ৮টি -যার মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষা করার সামর্থ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড  ও টেস্টিং ইনষ্টীটিউটের (বিএসটিআই) নাই, অথচ এর সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। এরই মধ্যে দুগ্ধ শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে  এবং জনস্বাস্খ্যেরও যথেষ্ঠ ক্ষতি হয়ে গেছে।

এই প্রসংগে আমার বক্তব্য হলো: পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে দুধের অবদান অনস্বিকার্ষ এবং পুষ্টি বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষনায় এটি প্রমান করে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশ দুগ্ধ শিল্পের উপর শিক্ষা ও গবেষনা সুযোগ খুবি সীমিত যদিও দেশে একটি ভেটেরাইনারী ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়সহ দুটি- তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় কিংবা পশু পালন অনুষদে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম কিছু গবেষনা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই সকল গবেষনার ফল দেশের দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে কতটুকু অবদান রাখছে তার  সম্প্রসারন ও প্রচারের দায়িত্ব সরকারের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত। এই সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি ডেইরি ফার্ম সরকারি কাঠামোতে পরিচালনা করছে যার মধ্যে সাভার ডেইরি ফার্ম উল্লেখযোগ্য যার উদ্দেশ্য প্রজনন, উৎপাদন, গবেষনা ও সম্প্রসারন। এই খামারের উৎপাদিত দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিপনন করা  হয় যা সাভার ডেইরি হিসাবে পরিচিত। তাছাড়া মিল্ক ভিটা দুগ্ধ প্রক্রিয়াজতকরনের ও দুগ্ধ সামগ্রী বিতরনের সাথে জড়িত রয়েছে। দেশে সরকারের পাশাপাশি ১৪ সরকারি  কোম্পানী দুগ্ধ উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরন ও বিপননের সাথ জড়িত যাদের পন্য সামগ্রী মুলত: তরল দুধ, মিল্ক পাউডার, ঘি, ছানা, পনির, মাখন ইত্যাদি। দেশীয় কোম্পানীগুলো  মনে করে বর্তমানে প্রচলিত দেশীয় শিল্প নীতিকে সহায়তা দিলে দেশে গ্রামে গঞ্জে অবস্থিত দুগ্ধ খামারি ও শহর কেন্দ্রীক কোম্পানীগুলো তরল কিংবা গুড়ো দুধের চাহিদা  মেটাতে পারবে। আবার দুধ আমদানিতে বছরে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে তা যদি দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগ করা যেত তাহলে এই শিল্পে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়াতে পারত।

লেখক: কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষক, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)