আদানি গ্রুপ

পাঁচ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে আদানির পাঁচ কোম্পানি

ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছেন ভারতের সবচেয়ে ধনীব্যাক্তি গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

আদানি গ্রুপের মুখ্য আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) জুগেসিন্দর সিং এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিন-পাঁচ বছরের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি আইপিও বাজারে ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আদানি নিউ ইন্ড্রাস্ট্রি, আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস, আদানি রোড ট্রান্সপোর্ট, আদানি কননেক্স এবং কোম্পানির ধাতু ও খনির ইউনিটগুলো স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে পরিণত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে গৌতম আদানির আইপিও পরিকল্পনার বিষয়ে জুগেসিন্দর সিং বলেন, বিমানবন্দর পরিচালনার মতো ব্যবসাগুলো মূলত ভোক্তা সেবা খাত, যেখানে প্রায় ৩০ কোটি গ্রাহক জড়িত। তাদের নিজেদের পরিচালনা জরুরি এবং প্রবৃদ্ধি বাড়াতে তারাই তাদের মূলধন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। কোম্পানি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর করার আগে অবশ্যই ওই ব্যবসায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। স্বাধীন নির্বাহ ক্ষমতার পাশাপাশি পরিচালনা ও মূলধন ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক বোঝাপড়া থাকা উচিত।

কোম্পানির এই প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে পাঁচটি ইউনিট মোটামুটি প্রস্তুত। বিমানবন্দরের ব্যবসা এরই মধ্যে স্বতন্ত্র রূপ পেয়েছে। যখন পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিক থেকে আদানি নিউ ইন্ডাস্ট্রি শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে।

প্রচলিত বন্দর পরিচালনার ব্যবসা থেকে মিডিয়া, সিমেন্ট, গ্রিন এনার্জি খাতে সম্পদ গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্রুত একচ্ছত্র ব্যবসা প্রসার বাড়ানোয় বেশ সমালোচনারও মুখোমুখি হয়েছেন ভারতীয় বিলিয়নেয়ার আদানি। কেউ কেউ বলেন, এতে তার ঋণ ও আর্থিক জটিলতা আরো বেড়েছে।

গবেষণা সংস্থা ক্রেডিটসাইটস আদানি গ্রুপের এই প্রবৃদ্ধি উত্তরণের শক্তিকে লাল পতাকায় চিহ্নিত করেছে। যদিও কোম্পানি এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধির হারকে যথোপযুক্ত এবং সঠিক বলে মন্তব্য করেছে।

খবরে বলা হয়, আদানির কোম্পানিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈচিত্র্যপূর্ণ শেয়ারহোল্ডার পরিবেশ সৃস্টি হবে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা অধিক তারল্যের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের জন্য তহবিল সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। তবে আদানির জন্য বড় সুবিধা হলো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন এজেন্ডায় অব্যাহত সমর্থন দিয়ে আসছেন আদানি। জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানিকারক থেকে ভারত সরকারকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তায় ৭০ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)