দারিদ্র্য দূরীকরণে নোবেলজয়ী ত্রয়ী অর্থনীতবিদই এখন বিতর্কিত

চুক্তিভিত্তিক পোল্ট্রি খামার: উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

ড: মিহির কুমার রায়ঃ বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি)-এর ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৭টির সঙ্গে পোল্ট্রি শিল্পের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বিধায় এর  গুরুত্ব রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির উপখাত হিসাবে পোল্ট্রি খাতের অবদান ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং প্রায়  ২০ লাখ মানুষের স্ব-নিয়োজিত কর্মসংস্থান প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে রয়েছে যদি পরোক্ষ অংশটি যোগ করা হয় তবে এই অংকটি  দাঁড়ায় প্রায় ৮০ লাখ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ বলছে মানুষের প্রাণিজ আমিষ চাহিদার ৪৫ শতাংশ এখন পোল্ট্রি খাত নির্ভর এবং বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা যেখানে আত্মকর্মসংস্থান তথা উৎপাদন আয় বাড়ানোর অপূর্ব  সুযোগ রয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত সংগঠনের নেতারা মনে করেন দেশে প্রতি বছর গড়ে ১৫ লাখ জনশক্তি শ্রমবাজারে  যোগ হচ্ছে। আবার শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে ১ শতাংশ হারে কমছে আবাদি জমি যা এক বিস্ময়কর চিত্র। এই  পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা তথা পুষ্টি নিরাপত্তায় এক জ্বলন্ত ভূমিকা রাখতে পারে এই খাতটি। খাদ্য কৃষি ও বিশ্ব  স্বাস্থ্য গাইড লাইন অনুযায়ী মানব দেহের শক্তির ৬০ শতাংশ আসবে শস্য জাতীয় পণ্য থেকে, ১৫  শতাংশ আসবে আমিষ জাতীয় খাদ্য থেকে এবং এই আমিষের ২০ শতাংশ হবে প্রাণিজ আমিষ অর্থাৎ মাছ, মাংস ও ডিম  থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১ জন মানুষ ৭ গ্রাম ডিম এবং ১৪ গ্রাম মুরগির মাংস খেয়ে থাকে যা থেকে  আমিষ আসে যথাক্রমে ১ ও ৩ গ্রাম অথচ এই সংখ্যাটি হওয়ার কথা কমপক্ষে ১৫ গ্রাম। একটি প্রবাদ আছে ‘সুস্থ খাবার সুস্থ  জাতি’ এবং এর জন্য প্রয়োজন পোল্ট্রি উৎপাদনে জীবাণুমুক্ত ব্যবস্থাপনা। এক সময় এই শিল্পটি ছিল আমদানি নির্ভর কিন্তু  বর্তমান বাজারে ক্রমাগত চাহিদার কারণে ইহা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত পোল্ট্রি  খাদ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশই আধুনিক ফিড মিলগুলোতে উৎপন্ন হচ্ছে এবং এই খাদ্যে ব্যবহৃত ভুট্টার প্রায় ৪০ শতাংশ  দেশীয় খামারে উৎপাদিত হচ্ছে। এই পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের ৪০ ভাগই নারী যা নারীর ক্ষমতায়নে কৃষির পরেই গ্রামীণ  অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। দেশের আধুনিক হ্যাচারিগুলোতে যান্ত্রিক উপায়ে প্রতি সপ্তাহে ১ দশমিক ১০ কোটি ডিম ফোটানো হয় এবং এই শিল্পের বর্জ্য থেকে তৈরি হয় বায়োগ্যাস, বিদ্যুত ও সার। কিন্তু ২০২০ সালে হঠাৎ করে করোনায়  দেশের যেসব খাতের ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর অন্যতম হলো পোলট্রি খাত। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর হিসাব মতে, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ফিড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৫২৯ কোটি টাকা এবং সামগ্রিকভাবে  পোলট্রি শিল্পে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর গত ১২ বছরের মধ্যে পোলট্রির দর সর্বনিম্ন পর্যায়ে  নেমে এসেছিল এই দুর্যোগের কারণেই। ২০২০ সালের জুন মাসের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-৪০ শতাংশ ফিডের উত্পাদন এবং প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্টের বিক্রি কমে গেছে। বস্তুত পোলট্রি  খাতের কয়েক লাখ প্রান্তিক খামারির অবস্থা এখন চরম সমস্যাক্রান্ত। লকডাউনে পোলট্রি খামারিদের অবস্থা আরও  শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। উৎপাদন প্রক্রিয়া ও সরবরাহ দুটিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল।  

করোনার দু-বছর পেড়িয়ে গেলেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। তবে এর মধ্যে আশার আলো নিয়ে এসেছে চুক্তিভিত্তিক পোল্ট্রি খামার, বিনা পুঁজিতে নিশ্চিত আয়। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মুরগির সরবরাহ বাড়াতে নতুন বিপ্লব এনেছে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বা চুক্তিভিত্তিক পোল্ট্রি খামার, বিনা পুঁজিতে নিশ্চিত লাভের এ ব্যবসা মুরগির খামারিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, ক্রমবিকাশমান এ খাতে ভিন দেশীদের আগ্রাসন ছাপিয়ে সেবা আর লাভে খামারিদের আস্থার শিখরে উঠে এসেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর বলছে, করোনার আগে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মুরগির খামারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯০ হাজার। পরবর্তীকালে খাবার ও ওষুধের চড়া দাম, উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে মুরগি বিক্রি, রোগ বালাইয়ে খামারে মড়ক লাগাসহ হরেক কারণে ব্যক্তি পর্যায়ের অধিকাংশ খামারি ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। কিছু সংখ্যক খামারি দেশী-বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক খামার পরিচালনা (কেজি প্রতি উৎপাদন ফি) করছেন বলেও সংস্থাটির মাঠ পর্যায়ের তথ্য স্মারণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহুজাতিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা একজন খ্যাতিমান প্রাণি সম্পদ  বিশেষজ্ঞ বলছেন ২০০৮ সালের দিকে দেশে প্রথম চুক্তিভিত্তিক মুরগির খামার শুরু হয়। চীন, থাইল্যান্ড ও  ভারতীয় বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি এ ব্যবসা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করলেও খামারিদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে মোটা অংকের অগ্রীম টাকা নেয়াসহ জটিল বিভিন্ন শর্তের কারণে তেমনটা এগুতে পারছিল না এ ব্যবসা।  যেসব খামারি শুরু করেছিলেন তারাও মানসম্মত বাচ্চা, সুষম খাবার, প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন/ওষুধ সরবরাহ, পরামর্শ  সেবার ঘাটতিতে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পোল্ট্রি খাত। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা পরবর্তীতে এ খাতের খামারিদের সমস্যা চিহ্নিত করে বিনা জামানতে সহজ শর্তে ‘চুক্তিভিত্তিক খামার’ পরিচালনা শুরু করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস লিমিটেড। কোম্পানিটি তাদের নীতি সহায়তার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই খামারিদের আস্থা অর্জন করেছে, পুরাতন খামারিদের পাশপাশি সারাদেশে শিক্ষিত বেকার যুবরা সহ অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত নারী পুরুষেরাও নতুন করে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে মুরগি উৎপাদনের ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন বলেও প্রতিয়মান হয়।
 
একজন সুফলভোগী জানান, ‘আগের কোম্পানির বাচ্চা ৩০ দিনেও ১ কেজি হোত না, কাজী ফার্মসের বাচ্চা ৩৫ দিনে ২ কেজি ছাড়িয়ে যায়। তাদের (কাজী ফার্মস) বাচ্চা ভালো, খাবার ভালো, ফলন ভালো নিয়মিত সপ্তাহে ডাক্তার আসে ২ দিন,  এরপরও সমস্যা হলে ফোন করলেই ওষুধ/ভ্যাকসিনসহ ডাক্তার চলে আসে, এখন আমাদের দুর্ভাবনা কেটে গেছে, ছেলেকে ইতালি পাঠিয়েছি, স্বামী নিজেদের জমিতে কৃষি কাজ করেন, ছেলের বৌকে নিয়ে আমি মুরগির খামার সামলাই। একজন খামারি মুরগির খামারের নানা পর্যায়ে অম্লমধুর অভিজ্ঞতার বর্ণনা শেষে জানালেন, ‘ছয় বছর ধরে ব্রয়লার মুরগি লালন পালন করছি, প্রথমে দুই বছর নিজের পুঁজিতে লোকসান না হলেও লাভ হয়নি তেমন, পরের দুই বছর বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক খামার করে যা পাচ্ছিলাম তা আশানারূপ ছিল না, তবে করোনার পর থেকে কাজী ফার্মসের সঙ্গে বিনাপুঁজিতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে  ক্রমেই লাভের অংকটা বড় হচ্ছে।’ কাজী ফার্মস লিমিটেডের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, সামর্থ্য বিবেচনায় ঝুঁকিমুক্তভাবে মুরগির খামার সচল রাখতে কাজী ফার্মস কন্ট্রাক্ট ফার্মিং করছে। উৎপাদন ও বাজার ভালো হলে কোম্পানি ও খামারি উভয়ে লাভবান হবে। পোল্ট্রি খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে উৎপাদন খরচ বাড়লে অথবা মুরগির বাজার দর কমলেও খামারির কোনো ক্ষতি নেই। নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত হারে গ্রোয়িং ফি পাচ্ছেন খামারি। তিনি জানান, খামারে কোনো কারণে মুরগি মারা গেলে তার দায়ও নেবে কোম্পানি। কেজিতে সর্বনিম্ন ৬-২৩ টাকা হারেও গ্রোয়িং ফি পাচ্ছেন খামারিরা।  

পোলট্রি দেশের অন্যতম শিল্প খাত এবং এ খাতকে শুধু বাঁচিয়ে রাখা নয়, এর শ্রীবৃদ্ধিও ঘটানো উচিত। করোনার প্রথম ধাক্কার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে শুরু হয়েছে এর দ্বিতীয় ঢেউ। এ অবস্থায় মৎস্য ও প্রাণি খাদ্য প্রস্তুতকারক ফিড ইন্ডাস্ট্রির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিড রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২০২৫ সাল নাগাদ পোলট্রি মাংস, ডিম ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রপ্তানি মার্কেটে প্রবেশের সক্ষমতা অর্জনের জন্য বর্তমান বছরের বাজেটে তিনটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে পোলট্রি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সরকারের দেওয়া বিদ্যমান সুবিধাগুলো অগ্রিম কর, অগ্রিম আয় কর, কর ও শুল্ক, ভ্যাট ইত্যাদি আরো অন্তত ১০ বছর অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অস্থিরতার কারণে রপ্তানিকারক দেশগুলো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রপ্তানির পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ মৎস্য ও প্রাণি খাদ্যে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কাঁচামাল পরিবহনে কন্টেইনার ও জাহাজ ভাড়াও প্রায় ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় কোভিডের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী ১০ বছরের জন্য কর অব্যাহতি সুবিধা প্রয়োজন। এছাড়া উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ শতাংশ উৎস কর কর্তনের বিধানটি রহিত করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া উদ্যোক্তারা পশু খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশের প্রস্তাব করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, আগে করপোরেট ট্যাক্সের হার ছিল শূন্য শতাংশ। ২০১১ সালে তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ; ২০১৪-১৫ সালে তা কমিয়ে ৩ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে তা আবারও বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। গত ২০২০ সালে করোনা সংকটে মৎ্স্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের খামারিদের উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হয়েছিল। এবারো যদি সেই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়, তাহলে এ শিল্পের ক্ষতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। গ্রামাঞ্চলে অগণিত খামারি সনাতনি কায়দায় খামার পরিচালনা করে থাকে যেখান থেকে ডিম কিংবা মাংস উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অন্যান্য ব্যবসার আদলে করা যায় না। কারণ যখন উৎপাদন হয় তখনি বিক্রি করতে হয়, ফলে অস্থিতিশীল বাজারে উৎপাদকরা পুঁজি হারাচ্ছেন। তাছাড়া চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সরবরাহ না থাকা, রোগ বালাই, আপৎকালীন প্রণোদনা না থাকা, কাঁচামাল ও পণ্য আমদানিতে শুল্ক, উৎসে আয় কর, পোল্ট্রি খাতকে কৃষিভিত্তিক শিল্পের মর্যাদা না দেয়া, ওষুধের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক হার, ঋণের ক্ষেত্রে বর্ধিত হারে সুদের হার ইত্যাদি। অন্যদিকে কৃষিতে বিদ্যুৎ বিলে প্রণোদনা ও ছাড় থাকলেও পোল্ট্রি খামারিদের শিল্প খাতের বিল পরিশোধ করতে হয়। ফ্রোজেন মাংস আমদানি করে দেশীয় খামারিদের ক্ষতি করা হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের পোল্টি শিল্প চলে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিদের হাতে যা কর্মসংন্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন সহায়ক নয়। এ ব্যাপারে প্রাণি স্বাস্থ্য সেবাকে জরুরি ঘোষণা করা,  প্রতি উপজেলায় হাসপাতাল নির্মাণসহ পোল্টি ভেকসিন সেবা নিশ্চিতকরন ও প্রাণি সম্পদ সেবাকে জরুরি সেবার আওতায় এনে এর লোকবল কাঠামো আধুনিকায়ন এবং কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মত নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারনা/গবেষনা নিয়ে চলা এখন সময়ের দাবি হিসাবে পরিণত হয়েছে। 

লেখক: গবেষক, অধ্যাপক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।


বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)